আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তল্লায় জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির শেষ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাস্তা না নদর্মা? এমন প্রশ্ন ইউনিয়ন ও নাসিকের মধ্যবর্তী তল্লা এলাকায় বসবাসকরা প্রতিটি মানুষের। এছাড়াও স্থানিয়দের অভিযোগ রোদ, বৃষ্টি আর বর্ষা নেই দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় ধরে রাস্তাটিতে ড্রেনের কালো পানি জমে আছে। প্রথমে শুধু বর্ষা অথবা বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা যেতো। তবে বর্তমান চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই আসলেই এটা কী রাস্তা, না কোন নর্দমা। ফলে এই রাস্তায় চলাচল করা হাজারো মানুষের প্রতিনিয়তই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ।

অভিযোগ রয়েছে, নাসিকের ১১ নং ওয়ার্ডের শেষ প্রান্ত ও ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের আংশিক অংশে অবস্থিত তল্লার এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই । সাধারন মানুষ বিভিন্ন সময় মেম্বার ও কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাস্তাটি সংস্কার করার দাবি জানালেও সংস্কার তো দূরে থাক পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থাই করতে পারেনি কেউই।

সরেজমিনে দেখা যায়, সিটি কপোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন তল্লা রেল লাইনের সাথে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তায় কালো পানি জমে আছে। তার সাথে ড্রেনের ময়লা এসে রাস্তায় পানিতে যোগ হচ্ছে। এছাড়াও ছোট বড় ইটের কনার কারনে এই রাস্তায় কোনো প্রকার পরিবহন চলাচল করতে পারছে না। আর তাই ছোট খাটো কারখানাসহ দোকান মালিকদের মালামাল আনয়নে দূভোর্গ পহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, আশ পাশের সব এলাকার রাস্তাগুলো আরসিসি ঢালাই দিয়ে অনেকটা উচু করা হয়েছে। তবে শুধু সিমান্ত এলাকা ব্যাখ্যা দিয়েই দায় সারা হয়েছে কর্তাবাবুরা। সংস্কারের অভাবে সাধারন মানুষ দিনের পর দিন ময়লা পানি দিয়েই চলাচল করেছে।

নাসিক ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শমসের আলি জন্টু বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই সংস্কার কাজ শুরু হয়ে যাবে। এই রাস্তা নিয়ে আমি এলাকাবাসির কাছে অনেক কথা শুনেছি। তাই কিছুদিন পূর্বে নাসিক মেয়রকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই রাস্তার নতুন করে আরসিসি ঢালাই দিয়ে সংস্কার করার টেন্ডার দিয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ