আজ রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হাটখোলা সড়ক নাসিক করলেও গাফিলতি ইউনিয়ন পরিষদের

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

গত মাসের ১৬ এপ্রিল দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকায় ‘কেউ খালি মুখে যায় না, যে যায় গালি দিয়া যায়’ এই শিরোনমে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এর কিছু দিন পর অর্থ্যাৎ গত ২১ এপ্রিল বাদল চেয়ারম্যানের গাফলতিতে দূর্ভোগে কাশীপুরবাসী এই শিরোনামে আরও একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেসময় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়া ওই রাস্তাটি অর্ধেক নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের, বাকিটুকু ইউনিয়ন পরিষদের। সংবাদ প্রকাশের প্রায় এক মাস পর নাসিক রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও এখনো পর্যন্ত টনক নড়েনি ইউনিয়ন পরিষদ কৃর্তপক্ষের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাটা কোম্পানির মাঠ থেকে শুরু করে হাটখোলা তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়কটির খুবই নাজেহাল অবস্থা। রাস্তাটির সংস্কার কাজ অর্ধেক হয়েছে আর বাকি রয়েছে আরও অর্ধেক।

ওই সময় সংবাদচর্চাকে দেয়া এক বক্তব্যে কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. সাইফুল্লাহ বাদল বলেছিলেন, বাটা কোম্পানির মাঠের সড়কটি ইউনিয়ন পরিষদের না। তবে হাটখোলা তিন রাস্তার মোড়ের সড়কটির কাজ চলছে, খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। নাসিকের অংশের কাজ হলো ইউনিয়ন পরিষদের অংশের কাজ পিছিয়ে থাকার কারণ সম্পর্কে  জানতে সাইফুল্লাহ বাদলকে বেশ কয়েকবার মুঠোফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই সড়কের একটি অংশ নাসিকের বাকি অংশ ইউনিয়ন পরিষদের। দুই বছর ধরে এই রাস্তা এমনিভাবেই পরে আছে! দুই-তিন বছর যাবৎ এই রাস্তার সংস্কার কাজ করা হয় না। তবে নাসিকের আওতাভুক্ত যতটুকু সে রাস্তার সংস্কার কাজ হয়ে গেছে।

সংস্কার না হওয়া রাস্তাটির ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী বলেন, বাদল চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক জীবন অনেক বড়। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনীতির সাথে জড়িত। তার কাছ থেকে এমন গাফিলতি কেউ আশা করে না। তিনি তো অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের লক্ষ্য করতে পারেন। তিনি নাকি বলে এই সড়কটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের। যদি সড়কটি নাসিকের আওতায় যতটুকু ছিলো ততটুকু তো সংস্কার হয়ে গেছে। এই রাস্তা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রয়োজন পরতো না। তিনি (বাদল) নিজের গাফিলতি স্বীকার না করে আরেক জনের ঘাড়ের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। আবার বলে এই সড়কের সংস্কার কাজ নাকি করা হচ্ছে। কিন্তু কেনো? তার অবহেলায় তো এলাকার এতোগুলো মানুষ কষ্টভোগ করতে পারেনা। তিনি যদি দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে করুক আর না হলে ছেড়ে দিক।

তারা আরও বলেন, রাস্তাটির মধ্যে ভাঙা, গর্ত ও পানি জমে থাকায় ওই রাস্তা দিয়ে কোন সুস্থ মানুষ চলাচল করতে পারে না। এলাকার কোন মানুষ যদি অসুস্থ হয় তাহলে গাড়ী দিয়ে এলাকার বাইরে তথা হাসপাতালে নিলে ওই রাস্তা পার হতেই আরও অসুস্থ হয়ে যায়। তাই অতি শীঘ্রই এই রাস্তাটির মেরামত করা দরকার। রাস্তাটি মেরামতের ব্যাপারে কাশীপুর এলাকাবাসী এম. সাইফুল্লাহ বাদলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ