আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাদল চেয়ারম্যানের অবহেলায় দুর্ভোগে কাশীপুরবাসী

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকায় গত ১৬ এপ্রিল কেউ খালি মুখে যায় না, যে যায় গালি দিয়া যায়! এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদটির মূল কারণ বাটা কোম্পানির মাঠ থেকে হাটখোলা তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা। সংবাদ প্রকাশের পর এখনো পর্যন্ত রাস্তার মেরামতের বিষয়ে কেউ কোন হস্তক্ষেপ নেয়নি। অথচ কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. সাইফুল্লাহ বাদল বলেছিলেন রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের না। দৈনিক সংবাদচর্চার তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর সেই তথ্যটি হলো ওই সড়কটি ইউনিয়ন পরিষদের। কারণ ওই এলাকায় রাস্তাটি মধ্যবর্তী স্থানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের সীমান্ত। কিন্তু যেই পর্যন্ত নাসিকের জায়গা সেই পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান পুত্র এড. অয়ন ওসমানের সমন্ধী ভিকি ট্যান্ডার নিয়ে কাজ করেছে। জানা যায়, ভিকির যতটুক কাজ করার কথা ছিলো সে ততটুক কাজই করেছে। কিন্তু বাকী রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের। এদিকে চেয়ারম্যান বাদল বলেছিলেন যে ওই রাস্তা ইউনিয়ন পরিষদের না। তিনি এটাও বলেছিলেন যে ওই রাস্তার সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। অথচ পুরো এলকা ঘুরে দেখা যায় কোথাও রাস্তা সংস্কারের কোন যন্ত্রপাতি নেই। এলাকাবাসীও ঠিক একি কথা জানায়। দীর্ঘদিন যাবৎ নাকি ওই এলাকার রাস্তাটি সংস্কার করা হয় না। দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে তারা জানায় আদৌ কী রাস্তাটির সংস্কার কাজ হবে? বাদল চেয়ারম্যান যদি একটু দেখতো। আসলে না দেখাটাই স্বাভাবিক। কারণ তার কাজের গাফলতির কোন শেষ নেই। তার গাফলতিতেই সড়কটির এই অবস্থা।

বাটা কোম্পানির মাঠ থেকে শুরু করে হাটখোলা তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত সড়কটির খুবই নাজেহাল অবস্থা। গত সংবাদে অনেক তথ্যই ছিলো না। তবে, রাস্তাটির সংস্কার কাজ অর্ধেক হওয়ার কারণ জানতে ওই এলাকায় গেলে বেরিয়ে আসে ভিন্ন তথ্য। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই সড়কটি ইউনিয়ন পরিষদের। অথচ কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান এম. সাইফুল্লাহ বাদল বলেছিলেন, বাটা কোম্পানির মাঠের সড়কটি ইউনিয়ন পরিষদের না। হাটখোলা তিন রাস্তার মোড়ের সড়কটির কাজ চলছে, খুব শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। অথচ সরোজমিনে গিয়ে গিয়েই সংস্কারের কোন কিছুই দেখতে পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী জানায়, বাদল চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক জীবন অনেক বড়। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনীতির সাথে জড়িত। তার কাছ থেকে এমন গাফলতি কেউই আশা করে না। তিনি তো অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের লক্ষ্য করতে পারে। তিনি নাকি বলে এই সড়কটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের। যদি সড়কটি নাসিকের আয়ত্তে হতো তাহলে অনেক আগেই সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ হয়ে যেতো। এই রাস্তা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রয়োজন পরতো না। তিনি (বাদল) নিজের গাফলতি স্বীকার না করে আরেক জনের ঘাড়ের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। আবার বলে এই সড়কের সংস্কার কাজ নাকি করা হচ্ছে। কিন্তু কেনো? তার অবহেলায় তো এলাকার এতোগুলো মানুষ কষ্টভোগ করতে পারেনা। তিনি যদি দায়িত্ব পালন করতে পারে তাহলে করুক আর না হলে ছেড়ে দিক। অবশ্য ওই লোকটা বেশী দিন বাচঁবেও না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ওই সড়কটি নাসিক আর উপজেলা পরিষদের সীমানা। তবে ওই সড়কটির কাজ অতি শীঘ্রই করা হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মো: আশরাফুল ইসলামের কাছে জানতে চেয়ে মুঠোফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি এম. সাইফুল্লাহ বাদলের সাথেও।

রাস্তাটির মধ্যে ভাঙা, গর্ত ও পানি জমে থাকায় ওই রাস্তা দিয়ে কোন সুস্থ মানুষ চলাচল করতে পারেনা। এলাকার কোন মানুষ যদি অসুস্থ হয় তাহলে গাড়ী দিয়ে এলাকার বাইরে তথা হাসপাতালে নিলে ওই রাস্তা পার হতেই আরও অসুস্থ হয়ে যায়। তাই অতি শীঘ্রই এই রাস্তাটির মেরামত করা দরকার। রাস্তাটি মেরামতের ব্যাপারে কাশীপুর এলাকাবাসী এম. সাইফুল্লাহ বাদলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ