আজ শুক্রবার, ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আলীরটেকে পানির দামে করলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন আলীরটেক ইউনিয়ন নির্জন দ্বীপ-চর আলীরটেক এলাকা। এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আলীরটেক বক্তাবলীর করলা চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে। করলা চাষীরা ন্যায্য দাম না পেয়ে পানির চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কৃষকরা প্রতিি কেজি ৮ থেকে ১০ টাকা কেজিতে পাইকারী ধরে বিক্রি করছে। গত বছর প্রতিকেজি করলার মুল্য ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। সোমবার সকালে আলীরটেক বক্তাবলী এলাকায় কৃষকদের সাথে কথা বলে তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক, চর আলীরটেক, মাঝের চর, গঞ্জকুমারিয়া তৈলক্ষিরা, চর ছমির নগর, বক্তাবলী, রাধানগর, প্রসন্ননগর, কানাইনগর গ্রামে শত শত কৃষক করলা চাষ করে। করোনার প্রভাবে সারাদেশ লকডাউন থাকায় কৃষকরা তা সঠিক দামে বিক্রি তরতে পারছে না। সড়ক ও নৌপথে যানচলাচল বন্ধ থাকায় শহরের বাজারে নিয়ে আসতে পাড়ছে না সবজি গুলো। ফলে অনেকের সবজি জমিতেই পচে নষ্ট হচ্ছে। অনেন চাষী বাধ্য হয়ে পানির মূল্যে সবজি বিক্রি করছেন।
আলীরটেকের করলা চাষী আলেক সরকা বলেন, আমি প্রায় চার একর জমিতে ওস্তা চাষ করেছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আমরা ওস্তার ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। করোনার কারনে পাইকারী বাজার গুলোতে নিতে পারছি না। যতুটুকু নিতে পারি তার দামও পাওয়া যায় না।
গঞ্জকুমারীয়া এক কৃষক বলেন, ‘এক মন উস্তা করোনার আগে বিক্রি হতো ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়। এখন সেই উস্তাই বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০০ টাকাতে। বাধ্য হয়েই বিক্রি করছেন। আমরা বাজওে নিতে পারছি না। পাইকাররা এখানে এসে নিয়ে যায়। কম দামে বিক্রি করে হচ্ছে। ৮ থেকে ১০ কেজিতে ওস্তা বিক্রি করছি। কিছু করার নেই। প্রশাসন যদি আমাদের দিকে তাকান।
এদিকে ফসলি জমিতে গিয়ে দেখা যায় প্রচুর করলা জমিতেই পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে মৌসুমি করলা চাষীদের। শুধু আর্থিক ক্ষতিই না, করোনার এ পরিস্তিতিতে অনেক কৃষকই অনাহারে অর্ধহারে রয়েছেন। চাষীরা স্থানীয় নেতা ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি সহযোগিতা চেয়েছেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ