আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আলীরটেকে দফায় দফায় মারামারি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জের আলীরটেক ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেও কোন সুরাহ পাচ্ছেনা ভুক্তভোগীরা। ইতমধ্যে এতে ২জন রক্তাক্ত জখম সহ ৪ আহত হয়েছে। তারা চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেও আবারো তাদের স্বজনদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে অভিযুক্ত বিবাদী সহ কয়েকজন। বুধবার  দুপুরে সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের গঞ্জকুমারীয়া তেলখিরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এবার তাদের সহিংসতায় বাদ পড়েনি মাত্র ১৫ বছরের কিশোর মারুফ। তার মাথায় লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এসময় আরো আহত হয় জামাল, নাজির হোসেন, আমির হোসেন, আউয়াল সহ ৫জন।  এছাড়াও অভিযুক্তরা এলোপাথারীভাবে লোহার বস্তু দিয়ে আঘাত করে তাদের হাতে, পায়ে পেটে বিভিন্নস্থানে গুরুতর জখম করেছে। এ নিয়ে দফায় দফায় মারামারিতে ৭জনের মত গুরুতর আহত হলেও বাদি পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের তেমন কোন অভিযান বা গ্রেফতার নেই বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিজেদের অধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ দ্বন্দ্বে দফায় দফায় মারামারি হয়েছে। এতে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বিচার শালিসের কথা বলে অপক্ষায় রাখলেও পরবর্তিতে না হওয়ায় এ নিয়ে সঘর্ষে জড়াচ্ছে তারা। এভাবে চলতে থাকলে এবং পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন না করা হলে যেকোন সময় বড়কোন অপ্রিতীকর ঘটনা হতে পারে বলে আশংকা করছে অনেকেই।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এরআগে মামলার বিবাদীরা এলাকায় মাদকের সাথে জড়িত থাকায় বিভিন্নসময়ই নিষেধ করতো আহত  জাকির ও আবু বক্কর। এরই ধারাবাহিকতায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে মহিউদ্দিন, সোহেল, সুমন, আল আমিন, সাদ্দাম হোসেন সহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে গত ২০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহ আলী বাজারে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রের এলাপাথারী আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয় জাকির ও আবু বক্কর। এছাড়াও ওইদিনই আলু ব্যবসায়ী জাকির ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফিরার পথে তাদের কাছে থাকা ২ লক্ষ  ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় উল্লেখিত বিবাদীরা।

এ ব্যপারে আলীরটেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি উভয়পক্ষকেই শান্তিু শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলেছিলাম। বুধবার এটা নিয়ে বসার কথা ছিলো তবে বসেনি। তাই আবার একটি ঘটনা হলো। এ বিষয়টি আমি শুনে থানায় কল দিয়ে ওসিকে জানিয়েছি, তিনি র্ফোস পাঠিয়েছিল।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার এসআই এ অভিযোগটির তদন্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম জানান, আজ এটা মামলা হয়ে গেছে। এর আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এ বিষয়টি সমাধানের জন্য তাদের বলেছিল তবে তা আর হয়নি। আজকে যে হামলার ঘটনা হয়েছে আমি অন্য একটি কাজে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারিনি। পরবর্তিতে এসআই সিরাজকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তবে খুব শিঘ্রই আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ