আজ মঙ্গলবার, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক: উৎপাদন মজুরি বৃদ্ধির দাবীতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিসিক শিল্প নগরীতে ফকির নীট ওয়্যার নামের একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভসহ বেশ কয়েকটি কারখানা ভাংচুর করেছে। পুলিশ বাধা দিলে শ্রমিকদের সাথে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সোমবার বেলা এগারোটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষেও ঘটনায় শিল্প পুলিশের একজন সহকারি পুলিশ সুপার, ফতুল্লা থানার ওসি ও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশত সাধারণ শ্রমিক আহত হয়েছে।
পুলিশ ও শিল্প মালিকরা জানান, উৎপাদান মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে ফকির নীটওয়্যার কারখানার শ্রকিদের মধ্যে গত তিনদিন ধরে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। মালিকপক্ষ মজুরি বৃদ্ধি করলেও দাবী অনুযায়ী বৃদ্ধি না হওয়ায় শ্রমিকরা গতকাল রবিবার কারখানাটির অভ্যন্তরে বিক্ষোভ করে। এ অসন্তোষ নিরসনে কারখানাটির মালিকপক্ষ আজ সোমবার সকালে বিসিক কর্তৃপক্ষ, বিকেএমইএর নেতৃবৃন্দ ও শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। তারা আগামীকাল বিভিন্ন কারাখানার মালিকদের সাথে আলোচনা করে তাদের সাথে উৎপাদন মজুরি সমন্বয় করার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকরা তা মেনে না নিয়ে বিসিকের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে এ বিক্ষোভ পুরো বিসিকে ছড়িয়ে পড়লে বিশেষ পোশাকধারী বহিরাগত শতাধিক যুবক এসে শ্রমিকদের সাথে যোদ দেয়। এসময় তারা বিসিকসহ আশপাশের ২০ থেকে ২৫টি কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। শিল্প মালিকদের কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়িও তারা ভাংচুর করে। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও ফতুল্লা থানা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা সহ বিপুল পরিমান পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। এতে শ্রমিকরা পুলিশের উপর ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে শুরু হয় শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় শিল্প পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার, ফতুল্লা থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ও ৭/৮জন পুলিশ সদস্য সহ প্রায় অর্ধশত সাধারণ শ্রমিক আহত হয়। এসময় পুলিশ উত্তেজিত হয়ে বহিরাগতদের লাঠিচার্জ করে। এসময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষের ঘটনার কারনে বিসিক সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়কে প্রায় দুই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ ঘটনার পর বিসিক শিল্প নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
