আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শকুকে রক্ষায় ফর্মুলা !

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

বিএনপি নেতা ও কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকুকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এমপি সেলিম ওসমান একটু বেশী স্নেহ করেন বলে নগরে চাউড় রয়েছে। তাকে কাউন্সিলর করতেও তার অবদান আছে। এবার বোমা হামলার মামলার আসামী থেকে রক্ষা করতে ফর্মুলাটি সেলিম ওসমানের দেয়া বলেই জানা গেছে।

২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে ভয়াবহ বিস্ফোরনে ২০ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় এমপি শামীম ওসমান। পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন শীল ও রতন দাসকে। ঘটনার পর দিন আওয়ামী লীগ নেতা ও শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত খোকন সাহা বাদি হয়ে দু’টি মামলা করেন। মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়। এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও শওকত হাসেম শকুসহ কয়েকজনকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। তবে সোমবার আদালতে এ মামলায় স্বাক্ষ্য শেষে গণমাধ্যমকে শামীম ওসমান একটি নতুন বার্তা দেন।

তিনি জানান, তৈমূর আলম খন্দকার ও শওকত হাসেম শকু বোমা হামলা মামলায় জড়িত ছিলো না। এ সময়ে তিনি বলেন, কোন নির্দোষ ব্যক্তি সাজা পাবে তা আমি চাই না। হউক সে অন্য দলের। আমি চাই সত্যিকারের অপরাধী যেন শাস্তি পায়।

তার এমন বক্তব্য আর ১৯ বছর আগে খোকন সাহার করা  মামলা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে নগরে। প্রশ্ন উঠেছে, যদি শামীম ওসমান সত্যি বলে থাকেন তবে কেন ওই সময়ে তৈমূর-শকু কে আসামী করা হলো ? খোকন সাহা কী না জেনে তাদের বিবাদী করেছিলেন ? শামীম ওসমানের  সাথে কথা না বলেই কি তিনি মামলার আসামী ঠিক করেছেন। না-কি বিরোধী দল শুধুমাত্র বিরোধীতার কারনে এমনটা করেছেন। নগরের বিভিন্ন আড্ডায় এসব প্রশ্ন উঠলে একেকজন একেকভাবে মন্তব্য করেন।

তবে সূত্র জানায়, সোমবার শামীম ওসমান যা বলেছেন তা সেলিম ওসমানের ফর্মুলা। তিনি তার স্নেহভাজন শকুকে রক্ষা করতে এ প্রেসিক্রপশন দিয়েছেন। শকুকে একা রক্ষা করলে কথা উঠবে তাই তৈমূর আলমকে সাথে রেখেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, এ দুইজনেরই সাথেই সখ্য হয়েছে।

অপরদিকে শামীম ওসমান অনুসারীদের দাবি, তাদের নেতা বরাবরই নিরপেক্ষ কথা বলে। তাই বিবেকের তাড়নায় তিনি সত্য বলেছেন। তিনি চাননা কোন নির্দোষ মানুষ অযথা শাস্তির মুখোমুখি হউক। যদিও ১৯ বছর কেন এমন তাড়না জন্মালো তার কোন উত্তর মেলেনি। সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, খোকন সাহা যদি ভুল করে থাকে তাহলে সে ভুলের মাশুল কেন ভুক্তভোগীরা দিবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ