বিপ্লব হাসান : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ পাঁড়াগাও এলাকার ঈদগাহ কেনেলের পাশে একটি জরাজীর্ণ ঘরে মিজান (৫০) নামে এক অসহায় ও দারিদ্র হকার পরিবার- পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এক ছেলে প্রিতম, এক মেয়ে পিংকী (১৮) ও স্ত্রীকে নিয়েই অসহায় মিজান মিয়ার পরিবার। পত্রিকা বিক্রি করেই চলছে তার সংসার ও ছেলের স্কুলের আর মেয়ের কলেজের লেখা-পড়া। টাকার অভাবে ঘরটা সংস্কার করতে না পারায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি বাদলে অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। ঘরের ছাউনির টিনগুলো নষ্ট হওয়ায় তাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বৃষ্টি বাদলে সবার পরনে থাকে পলিথিন আর রোদ্রের সময় ইচ্ছে করলে ধান ঘরেই শুকাতে পারে। বর্তমানে মিজান মিয়া ঘরের টিনের চালে খড় ও পলিথিন দিয়ে সারা বছর অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। এছাড়াও ঘরের খুটিগুলোও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, পত্রিকা বিক্রেতা মিজান মিয়া (৫০) তার পরিবার নিয়ে বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করে আসছেন। জীবন-যাপনের জন্য মোটামুটি ভালো একটি আশ্রয়স্থলের অভাবে বহু বছর ধরে বাঁশের খুটি ও টিনের ছাউনি সম্বলিত ঘরে বসবাস করছেন। ঘর অনেক পুরাতন হওয়ায় ঘরের টিন ও বেড়া নষ্ট হয়ে গেছে। তাই কোনমতে টিন ও ঘরের বেড়ায় পলিথিন দিয়ে জীবন-যাপন করে আসছিলেন হকার মিজান মিয়া। বর্তমানে তাও নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে চলমান শৈত্য প্রবাহে তীব্র শীতে জরাজীর্ণ ঘরে পরিবার নিয়ে অতি কষ্টে জীবন-যাপন করছেন মিজান মিয়া। হকার মিজান মিয়া বলেন, সরকার যদি একটু সাহায্য করতেন তাহলে আমি আমার পরিবার নিয়ে অন্য সবার মতো ভালোভাবে জীবন-যাপন করতে পারতাম। আমি একজন অসহায় লোক। পত্রিকা বিক্রি করে আমি আমার সংসার ও ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া করাচ্ছি। বসত ভিটা ছাড়া আমার নিজের আর কোন জমি নেই। আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় জরাজীর্ণ ঘরটা নিয়ে বেশ চিন্তিত আছি। কারণ রোদ-বৃষ্টি কোন মৌসুমেই ঠিক মতো থাকতে পারি না। আশ্রয় যদি ঠিক না থাকে দিনরাত পার করা খুব মুশকিল। জীবন-যাপন করার জন্য মোটামুটি ভালো আশ্রয়স্থলের একটি ঘর আমাদের খুব প্রয়োজন। তাই আপনাদের মাধ্যমে সরকার থেকে যদি একটা ঘর পেতাম তাহলে হয়তো পরিবার নিয়ে একটু ভালোভাবে জীবন কাটাতে পারতাম।