আজ শনিবার, ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোটারদের জামাই আদর!

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট সকাল থেকেই শুরু হয়েছে । কেন্দ্র কেন্দ্রে ভোটারদের জামাই আদর! মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা করে দিচ্ছেন তাদের। কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা ছোট ছোট টেবিল পেতে বসে আছেন ভোটকেন্দ্রের আশপাশে। তারা সবাই ভোটারদের সেবায় নিয়োজিত। ভোটারদের নাম, ভোটার নম্বর, কেন্দ্রের ঠিকানা দেওয়া হচ্ছে এখান থেকে। ভোটারদের সুবিধার জন্য পরিবহন সুবিধাও করে দেওয়া হচ্ছে।

মিরপুরের মনিপুর বারেক মোল্লার মোড়ে হলুদ টি শার্ট গায়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন রিকশা চালক। কোনো মানুষ পাশ দিয়ে বের হলেই ডাক দিচ্ছেন, আপনারা ভোটার নাকি? ভোট কেন্দ্রে যাবেন? ভাড়া লাগবে না।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিমুল হক যাতায়াতের এ সুবিধা করে দিচ্ছেন। তিনি প্রায় হাজার খানেক রিকশা ভোটারদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ভাড়া করেছেন। ভোটারদের কাছ থেকে কোনো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। তাদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে রিকশাগুলো।

৬০ ফিট বারেক মোল্লার মোড়ে হলুদ টি শার্ট গায়ে রেডিও মার্কা সম্বলিত ব্যাজ পরে দাঁড়িয়ে আছেন রিকশাচালক মনিরুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি রেডিওর লোক। ভোটারদের যাতায়াতে সুবিধার জন্য কাজ করছি। শুধু যাত্রীদের বলছি, রেডিওতে একটা ভোট দিয়েন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত এক হাজার রিকশা চালক ১৩ নম্বর ওয়ার্ড ছড়িয়ে রয়েছেন। তাদের দুপুরের লাঞ্চসহ ১৩ থেকে ১৫’শ টাকা দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের সেবায় টেবিল পেতে বসেছেন অনেকে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল মোল্লার অনেক সমর্থক দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রার্থীরা কর্মী সমর্থকদের সারাদিনের খাবার খরচসহ ৭০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা দিচ্ছেন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীদের তৎপরতা বেশি। মেয়র প্রার্থীদের তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়ছে না।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ