আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্দরে কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ মানুষ

বন্দর প্রতিনিধিঃ

বন্দরে কিশোর গ্যাং লিডার রাজু বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বন্দরে শান্তি প্রিয় জনগন। সম্প্রতি সন্ত্রাসী রাজু বাহিনীর হামলায় কলেজ ছাত্র শিপন ও তার সহযোগী জুম্মান আহতের হওয়ার ঘটনার ৭ দিনেও মামলা হয়নি। যার ফলে এখনও দাবড়ে বেড়াচ্ছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। গত ৪ সেপ্টেম্বর বন্দর খানবাড়ী এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

আহত জুম্মনের পিতা আলী আকবর গনমাধ্যমকে জানায়, আমি দিন মজুর মানুষ। কাজ না করলে খাব কি। সপ্তাহে একদিন বাড়িতে থাকি। কাজ ফেলে তো বার বার থানায় যাওয়া যায়না। গত ৭দিন আগে থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশ বলেছে মামলা নিবে। একবার আমাকে বন্দর ফাঁড়ীতেও ডেকেছিল অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা। তারমধ্যে ছেলের এই অবস্থা। খুব কষ্টে আছি। ছেলেকে চিকিৎসা করাতে ধারদেনা করে চলছি। আসলে গরিবের জন্য একমাত্র আল্লাহই সহায়ক মাত্র।

নাম প্রকাশে না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, নুরবাগ এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের হোতা রাজু একজন চিহিৃত সন্ত্রাসী। তার সাথে রয়েছে একাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধির জন্য সন্ত্রাসী রাজু কিশোর ছেলেদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অপরাধের রাজত্ব কায়েম করছে। সে একজন রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় রয়েছে। বন্দর থানা পুলিশ সব কিছু জেনেও রহস্য জনক কারনে সন্ত্রাসী রাজু বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না।

প্রসঙ্গত,গত ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে কলেজ ছাত্র সিপন ও জুম্মন রিক্সা যোগে বাড়ি ফিরছিল। তাদের বহনকৃত রিক্সাটি খানবাড়ি মোড়ে আসলে ওই সময় উৎপেতে থাকা বন্দর নুরবাগ এলাকার সন্ত্রাসী রাজুর বাহিনীর অন্যতম সদস্য সিরাজ শিকদারের ছেলে সন্ত্রাসী রাজিব,নুরবাগ এলাকার জব্বর মিয়ার ছেলে রকিব,ছালেনগর এলাকার ইমরান তৌহিদুল,আলআমিন,শুভসহ ২০/৩০জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। কলেজ ছাত্র সিপন ও জুম্মানকে বেদম ভাবে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় কলেজ ছাত্র শিপনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ও অপর আহত জুম্মানকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

এ ব্যাপারে বন্দর ফাড়ীর ইনচার্জ মাসুদ রানার সাথে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপকালে তিনি জানান, আহতদের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করে এসেছি। মামলার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ