আজ শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খুন ধর্ষণসহ বিশের অধিক মামলার আসামী শাওন বাহিনীর তান্ডবে অতিষ্ঠ

চনপাড়ার এক মহা আতঙ্কের নাম শাওন। তার অত্যাচারে এখন অতিষ্ঠ চনপাড়াবাসী। জানা গেছে শাওনের বাবা-মা, বোন- পরিবারের সবাই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে  নিজেও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। পাশাপাশি সন্ত্রাসী, জোরদখল, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দুটি হত্যা ধর্ষণসহ কমপক্ষে বিশের অধিক মামলার আসামী তিনি।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, হেন কোনো অপরাধ নেই যা ওই শাওন করে না। তার রয়েছে বিশাল একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনীর সদ্যসরা হত্যা, রাহাজানি, মাদক ব্যবসা, নারীদেহ ব্যবসা, লুণ্ঠন, ছিনতাই ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত।

এলাকাবাসী বলছেন, এই বাহিনীর অত্যাচারে এলাকা দিয়ে উঠতি বয়সের কোনো মেয়েই স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারে না। নারীরাও নিরাপদ নয় তাদের কাছে। আসতে যেতে ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হয় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েসহ স্থানীয় নারীদের।

সূত্র জানায়, রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া পূণর্বাসন কেন্দ্রের ৩ নং ওয়ার্ডের আলি মর্তুজা ওরফে মতুর ২য় স্ত্রী মাদক সম্রাজ্ঞী শিল্পী বেগমের ছেলে শাওন। মনির, আওয়ামী লীগ নেত্রী বিউটি আক্তার কুট্টি এবং তার স্বামী হাসান মুহুরী হত্যাকান্ডে জড়িত এই শাওনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা, ডাকাতি মামলা, চাঁদাবাজি মামলা, ধর্ষণ মামলাসহ অন্তত বিশের অধিক মামলা রয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, সম্প্রতি শাওনের মা মাদক সম্রাজ্ঞী শিল্পী বেগম ৩, ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ র‌্যাব-১ এর অভিযানে আটক হয়। এছাড়া তার বোন সোহাগী বেগম বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।

জানা গছে, সম্প্রতি শাওন ও তার বাহিনীর সদস্যদের মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় স্থানীয় মহিলা লীগ নেত্রী তাসলিমা বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় শাওন বাহিনী। এছাড়া ১৭ অক্টোবর রাতে সন্ত্রাসী শাওন অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মহিলালীগ নেত্রী তাসলিমা বেগমকে ধর্ষণের চেষ্টাও চালিয়েছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে।

বছর খানেক আগে মনির নামে স্থানীয় এক ছেলে শাওনের মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় প্রকাশ্যে সকলের সামনে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে এই শাওন। এছাড়াও একই কারণে আওয়ামী লীগ নেত্রী বিউটি আক্তার কুট্টি হত্যা মামলায় তার সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে। এর আগে কুট্টির স্বামী হাসান মুহুরি হত্যা মামলায়ও সম্পৃক্ত শাওন।

এলাকাবাসী জানায়, বর্তমানের শাওন ও তার বাহিনী এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, এলাকার মানুষ এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের জোরালো পদক্ষেপ না থাকার কারণে শাওন ও তার বাহিনীর এই বাড় বাড়ন্ত বলেই জানায় এলাকাবাসী। তারা শাওনের বিরুদ্ধে জোড়ালো ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, খুব শীঘ্রই সন্ত্রাসী শাওনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ