আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপির আংশিক কমিটি চূড়ান্ত

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটিতে পরিবর্তন আসছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা সংবাদচর্চা জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি  চূড়ান্ত । যে কোনো সময় তা প্রকাশ হতে পারে। কমিটিতে কেকে থাকছে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, যারা রাজপথে আন্দোলনে সরব ছিলো তাদেরকেই এবারের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে।

অপর একটি সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে জেলা বিএনপির সভাপতি পদে এড. তৈমূর আলম খন্দকার এগিয়ে রয়েছে। তবে পদে বহাল থাকতে কাজী মনিরুজ্জামান লবিং শুরু করে দিয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদেও একই অবস্থা। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান সাধারণ সম্পাদক হতে জোড় লবিং করছে। তবে সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদও রাজপথে ছিলেন। এই পদে পরিবর্তন না হওয়ার অভাস পাওয়া গেছে।

এদিকে গত সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের মতো কমিটি বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি চক্র এব্যাপারে বেশ সক্রিয় রয়েছেন। আর সেক্ষেত্রে আবার বলির পাঠা হতে পারে এড.তৈমূর আলম খন্দকার। আরো পড়ুন: সরিয়ে দেয়া হলো মনির-মামুনকে

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আংশিক  কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। সেই কমিটিতে সহ-সভাপতি ছিলেন শাহ আলম, খন্দকার আবু জাফর, প্রয়াত জান্নাতুল  ফেরদৌস, শাসমসুজ্জামান, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, আজহারুল ইসলাম মান্নান, আবদুল হাই রাজু, মনিরুল ইসলাম রবি, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ,  যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন লুৎফর রহমান খোকা, এম এ আকবর, সাংগঠনিক সম্পাদক  জাহিদ হাসান রোজেল, নজরুল ইসলাম পান্না, মাসুকুল ইসলাম রাজীব ,সহ সাংঠনিক সম্পাদক উজ্জল হোসেন, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান, রুহুল আমিন শিকদার। কার্যকরী সদস্য ছিলেন, সাবেক সাংসদ রেজাউল করীম, সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন, আড়াইহাজার থানা বিএনপি’র সভাপতি প্রয়াত বদিরউজ্জামান খান খসরু , কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর এবং মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া। ওই  কমিটিকে পরের ৩০ দিনের মধ্যে ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনেরও নির্দেশনা দেয়া হয়। ওই আংশিক কমিটি কার্যক্রমে সাংগঠনিক দুর্বলতার চিত্র ফুটে ওঠে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ