আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পেছাল না.গঞ্জের সম্মেলন,নেতাদের যা বললেন কাদের

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের অধীনে সকল সাংগঠনিক জেলা মহানগরের সভাপতি  সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্যদের সাথে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, এখন থেকে কেন্দ্রের পরামর্শ ছাড়া আওয়ামী লীগে কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। কমিটিও ভাঙা যাবে না। এমনটি জানিয়ে আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সম্মেলন ছাড়া দলের কোনো কমিটি করা যাবে না। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া কোনো কমিটি ভাঙা যাবে না। কেন্দ্র ছাড়া কেউ কাউকে সরাসরি বহিষ্কার করতে পারবেন না।

এপ্রিল থেকে সম্মেলনের কাজ পুরোদমে শুরু হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মোট ২৯টি সম্মেলন করেছি। এর মধ্যে দুটি ঢাকা সিটির। কিন্তু ঢাকা বিভাগে এ পর্যন্ত কোনো সম্মেলন হয়নি। শেখ হাসিনার বড় নির্দেশনা হচ্ছে দলকে ঢেলে সাজাতে হবে। দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন এপ্রিল থেকে পুরোদমে শুরু হবে।

কেন্দ্রীয় সম্মেলন থেকে শিক্ষা নিতে নারায়ণগঞ্জসহ তৃণমূল নেতাদের পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দল ক্ষমতায় থাকায় সাংগঠনিক দুর্বলতা টের পাচ্ছেন না। অনেক জায়গায় দেখা যায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হয়ে আছে, ৮-১০ বছর হয়ে গেছে আর কেউ নেই। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। আবার অনেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিচ্ছে, কিন্তু অনুমোদন পেতে পেতে ছয় মাস। সম্মেলন করতে বললে বলেন, আমাদের তো মেয়াদ শেষ হয়নি। সম্মেলন যেদিন থেকে হবে, ক্ষণগণনা সেদিন থেকে। কেন্দ্রীয় সম্মেলন থেকে শিক্ষা নেন।

পকেটের লোক দিয়ে কমিটি না করার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কমিটি করতে গিয়ে নিজের লোক পকেটে ঢুকাবেন না। এতে দলের কোনো লাভ হবে না। দল ভারী করার জন্য আজ বিতর্কিত ব্যক্তিদের আনবেন না। ঘরে বসে কমিটি করবেন না। আরো পড়ুনঃআ.লীগের মন্ত্রীকে রুমিন ফারহানার পছন্দ !

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, আবদুর রহমান, শাহজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোহাম্মদ মন্নাফি, পানি সম্পাদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, নারায়ণগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত শহীদ বাদল উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর আব্দুল হাই কে সভাপতি ও ভিপি বাদল কে সাধারণ সম্পাদক নাসিক মেয়র আইভী কে সিনিয়র সহ সভাপতি করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হয় । এর পরের বছর ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর ৭৪ সদস্যের জেলা কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।

২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেন কে সভাপতি ও খোকন সাহা কে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। এর দুই বছর পর ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এদিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিগুলো আগামী ৬ মার্চের মধ্যে কমিটি করার নির্দেশনা দিয়ে তৃণমূলে চিঠি দিয়েছিলো কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। তবে সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যা আজ দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পরিস্কার করে দিয়েছেন তার বক্তব্যে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ