আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাপুল এমপির বিরুদ্ধে কুয়েতি ষড়যন্ত্র

বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ না করেও শুধুমাত্র সমাজসেবা ও মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনই বর্তমান সংসদের সম্মানিত সদস্য নির্বাচিত হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সেই তাক লাগানো জনপ্রিয় সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র নতুন কোন বিষয় নয়। সামাজিক কর্মকাণ্ড শুরুর সময় থেকে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল তা আজও বিদ্যমান। বরং দিনে দিনে এই ষড়যন্ত্র নতুন নতুন রূপ ধারণ করেছে। কুয়েতকেন্দ্রিক একটি মহল এবং বাংলাদেশের একটি মহল যৌথভাবে পাপুল বিরোধী অপপ্রচারে নেমেছে। পাপুল প্রতিষ্ঠিত কুয়েতের বিখ্যাত কোম্পানী মারাফিয়া কুয়েতিয়া গ্রুপ অফ কোম্পানীজ কুয়েতের সবচেয়ে বড় কোম্পানীর একটি। মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপ ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ২১ হাজার কর্মচারী মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপে কর্মরত রয়েছে এবং উপসাগরীয় অঞ্চলে ২ দশকের বেশি সময়কালে সাফল্যের সাথে প্রকল্পগুলো সম্পাদন করে।
মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপ এই পর্যন্ত ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট সম্পন্ন করে। এই কোম্পানির ম্যানেজমেন্টে কাজ করছে কুয়েতি, বাংলাদেশী, আমেরিকান, ব্রিটিশ, কানাডিয়ান, ইন্ডিয়ান, টার্কিশ, মিসরীসহ অনেক দেশের নাগরিক। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানি কাজ করছে কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, তেল, গ্যাস, রিফাইনারী, হাইড্র অপারেশন, পাইপ লাইন, মিলিটারি লজিস্টিকস, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, আইটি, সিকিউরিটি সশস্ত্র ও অস্ত্রশস্ত্র।

সূত্র জানায়, বছরের পর বছর কাজী পাপুলের ব্যবসায়ী পলিসির সাথে প্রতিযোগিতায় না টিকে তারা ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে। কুয়েতের এই মহলটি বাংলাদেশের রায়পুর লক্ষ্মীপুর কেন্দ্রীক পাপুল বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়ে যৌথ অপপ্রচারে নামে। গত দুইদিন অখ্যাত নামসর্বস্ত্র বিভিন্ন অনলাইন পাপুল বিরোধী প্রচারণায় নেমেছে কোমর বেঁধে। তাদের প্রকাশিত সংবাদ মতে কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল এমপি মানব পাচারের মাধ্যমে ১৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এইসব অখ্যাত নামসর্বস্ত্র অনলাইন সংবাদকে পুঁজি করে বাংলাদেশের একটি দৈনিক “মানবপাচারে ১৪০০ কোটি টাকার কারবার কুয়েত থেকে লাপাত্তা বাংলাদেশের এমপি” শিরোনামের শীর্ষ সংবাদ প্রকাশ করে। প্রকাশিত সংবাদে মনগড়া কল্প-কাহিনীর পাশাপাশি পত্রিকাটি কুয়েতস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান মোঃ আনিসুজ্জামানের বরাতে উল্লেখ করে, এমপিকে নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের পর কুয়েত সিআইডি-তে তারা তাৎক্ষনিক যোগাযোগ করেছেন। সিআইডি-তে থেকে মারাতিয়া কুয়েতি গ্রুপ অফ সত্বাধিকারী কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
পত্রিকাটি তাদের সংবাদের শুরুতেই উল্লেখ করেছে “কুয়েতে মানব পাঁচারের হাজার কোটি টাকার কারবারে অভিযুক্ত সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের নাম এসেছে। কুয়েতের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট সিআইডির অভিযানে মুখে বাংলাদেশের এই এমপি কুয়েত ছেড়েছেন”। পত্রিকার প্রকাশিত এই সংবাদকে হিংসাপূর্ণ ও ষড়যন্ত্রমূলক কার্যকলাপের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ মিশনের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে বাংলাদেশ দূতাবাসের সে কর্মকর্তা জানান, পত্রিকাটি আমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় একজন এমপির নাম এসেছে বলে উল্লেখ করলে আমরা তাদেরকে জানাই এখানকার প্রতিবেদনে বা পত্র-পত্রিকার কোন এমপির নাম উল্লেখ করা হয়নি। কথা প্রসঙ্গে পত্রিকাটি কুয়েতে একজন এমপি ব্যবসায় করেছেন উল্লেখ করলে আমরা তাদের বলি যে, এখানে একজন মাননীয় সংসদ সদস্য সুনামের সাথে বড় ধরনের ব্যবসায় জড়িত আছেন। যদি এই পত্রিকাটি তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাকে (এমপিকে) নির্দেশ করে থাকে তাহলে আমরা মনে করি এটি ব্যবসায়ের প্রতি হিংসান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক কার্যকলাপেরই অংশ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ