আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গণধর্ষণের পর মৃত মেয়ে জীবিত উদ্ধার

অ.শুভ:

পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে তিন আসামি। এর আগে মেয়ে নিখোঁজের এক মাস পর দুইজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করে মেয়েটির বাবা। রোববার সেই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে মা-বাবা। স্কুলছাত্রীর মা জানান, বন্দরের কুশিয়ারা এলাকায় ইকবাল নামে এক যুবকের সঙ্গে দেড় মাস ছিলো জিসা মনি। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি জানিয়েছেন, ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে তবে, এর আগে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের স্বীকারোক্তির ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল জিসা মনি (১৫) নামে ওই কিশোরী। সে দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। অনেক খোজাঁখুজির পর মেয়েকে না পেয়ে গত ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। মামলায় জাহাঙ্গীর উল্লেখ করেন, আসামি আব্দুল্লাহ তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে বাধা দিলে মেয়েকে অপহরণের হুমকি দেয়। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ ফোনে ঠিকানা দিলে আমার মেয়ে সেই ঠিকানায় যায়। পরে তাকে গাড়ি দিয়ে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা।

এরপর থেকেই আমার মেয়ের কোন খোঁজ নেই। মামলার পর পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির মায়ের মোবাইলের কল লিস্ট চেক করে রকিবের সন্ধান পায় পুলিশ। রকিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে আব্দুল্লাহ জিাসার সাথে যোগাযোগ করতো। ঘটনার দিনও ওই নম্বর দিয়ে কল করে আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় রকিব, আব্দুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আরও জানা গেছে, ৯ আগস্ট দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে। এমন নৃশংস ঘটনার বিবরণ দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তার তিন আসামি আব্দুল্লাহ (২২), রকিব (১৯) ও নৌকার মাঝি খলিল (৩৬)। এদিকে রবিবার দুপুরে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার একটি মোবাইল ফোনের দোকান থেকে তার মা বাবা উদ্ধার করে।

জিসার মা জানান, বন্দরের কুশিয়ারা এলাকা ইকবাল নামে একটি ছেলে সাথে গত দেড়মাস ছিলো জিসা। তার মেয়ের সাথে সর্ম্পক ছিলো ইকবালের। জিসাকে বিয়ে করে তারা সেখানে ছিলো বলে জানান তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামীম বলেন, ইকবাল ও জিসা একে অপরের পরিচিত ছিলো। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলো। রবিবার জিসার সন্ধান পাওয়া যায় সে ইকবাল নামের এক যুবকের সাথে ছিলো। পুলিশ ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তবে এর আগে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের স্বীকারোক্তির ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ