আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নৌকায় ধর্ষণ, নদীতে লাশ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে। এমন নৃশংস ঘটনার বিবরণ দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তার তিন আসামি।

রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে তিন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান।

আসামিরা হলেন- বন্দর উপজেলার বুরুন্ডি খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রকিব (১৯) ও নৌকার মাঝি খলিল (৩৬)।

আসামিদের দেওয়া জবানবন্দির বরাতে পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ৪ জুলাই বিকেলে রকিবের ইজিবাইকে ঘোরাঘুরি শেষে ওই কিশোরীকে শহরের পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় নিয়ে যায় আব্দুল্লাহ। সন্ধ্যায় খলিল মাঝির নৌকা ভাড়া করে নৌকায় কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করে। পরে আব্দুল্লাহ ওই নৌকাতেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পালাক্রমে ধর্ষণ করে নৌকার মাঝি খলিলও। মেয়েটি তার মাকে ধর্ষণের কথা বলে দিবে বললে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আব্দুল্লাহ ও খলিল। এরপর লাশ নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল জিসা মনি (১৫) নামে ওই কিশোরী। সে দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। অনেক খোজাখুজির পর মেয়েকে না পেয়ে গত ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন।

মামলায় জাহাঙ্গীর উল্লেখ করেন, আসামি আব্দুল্লাহ তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে বাধা দিলে মেয়েকে অপহরণের হুমকি দেয়। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ ফোনে ঠিকানা দিলে আমার মেয়ে সেই ঠিকানায় যায়। পরে তাকে গাড়ি দিয়ে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকেই আমার মেয়ের কোন খোঁজ নেই।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল হাই জানান, মামলার পর মেয়ের মায়ের মোবাইলের কললিস্ট চেক করে রকিবের সন্ধান পাই। রকিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে আব্দুল্লাহ নিহত কিশোরীর সাথে যোগাযোগ করতো। ঘটনার দিনও ওই নম্বর দিয়ে কল করে সে। রকিবকে গ্রেফতারের পর আব্দুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে গ্রেফতার করি। আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তবে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খোঁজ করেও ভুক্তভোগীর মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ