আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খালেদা জিয়ার এটা রাজনৈতিক মামলা না: কাদের

রাজধানীর পল্টনে গতকাল বিএনপির সমাবেশে সরকারকে নিয়ে প্রবীন রাজনৈতিক নেতা ড. কামাল হোসেনের উক্তিকে আপত্তিকর ও রাস্তার ভাষা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমমতি দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ ও পুরনো তিনটি সেতুর পূণর্বাসন প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশে ড. কামাল হোসেন সরকারকে লাথি মেরে উচ্ছেদ করবে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা গণতান্ত্রিক ভাষা হতে পারেনা, এটা রাস্তার ভাষা। তার মতো ব্যক্তি কী করে এমন রাস্তার ভাষায় কথা বলে? তিনি সীমা ছাড়িয়ে গেছেন।

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি আন্দোলনের নামে আবারো দেশে জ্বালাও পোড়াও করে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী মুখে আঙুল দিয়ে চোষবে না।  তারা উপযুক্ত জবাব দিবে।

বেগম খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার এটা কোন রাজনৈতিক মামলা না। তার এই মামলা সরকার করেনি। তার মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের মামলা। তাকে রাজনৈতিকভাবে মুক্ত করার সুযোগ নেই। এটা কারামুক্ত করা আদালতের ব্যাপার। আর এই মামলা বিলম্বের জন্য বিএনপি নিজেরাই দায়ী বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, তারা সময়মতো আদালতে হাজিরা দিলে এই মামলা অনেক আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যেতো।

আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমনাত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি দ্বিতীয় তিনটি সেতু জাপানের সহায়তায় আধুনিক ও যুগোপযোগী করে চার লেনে নির্মাণ করা হয়েছে। জাপানি কোম্পানি জাইকা আজ এই সেতু তিনটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করল। সেতু তিনটির কাজ নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগে সম্পন্ন করায় ১৩ শ’ ৮৮ কোটি টাকা ব্যয় কম হওয়ায় জাপান সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি। এই তিনটি সেতু দৃষ্টান্ত ও দেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সকল প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের জন্য শিক্ষনীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

চার লেন বিশিষ্ট এই সেতু তিনটি দেশের সর্ববৃহৎ মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রমের সাথে যোগাযোগ ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভব এবং সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ