আজ রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিবাদে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার অধিবাসীরা অব্যাহত রেখেছে গাজা উপত্যকার মানুষের প্রতিবাদ। যুক্তরাষ্ট্র আর সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে পৃথিবীর বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগারখ্যাত গাজা উপত্যকার মানুষেরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রো এবং তেহরানভিত্তিক প্রেস টিভির খবর থেকে এসব কথা জানা গেছে। ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিবাদ জানাতে গত রোববার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী পপ্যুলার ফ্রন্ট গাজা শহরে এক বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়।
জেরুজালেমের প্রতি অবমাননার প্রতিবাদ জানাতে মিছিলে অংশ নেন উপত্যকার হাজার হাজার মানুষ। গাজা উপত্যকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে পপ্যুলার ফ্রন্টের শীর্ষস্থানীয় নেতা জামিল মাজহার বলেন, “আল-কুদস (জেরুজালেম) হচ্ছে ফিলিস্তিনের চিরন্তন রাজধানী এবং এই নগরীর এক ইঞ্চি ভূমিও ইসরাইলকে দেয়া হবে না।” বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিকৃতিতে আগুন দেন তারা।
বাদ যায়নি সৌদি নেতৃত্বও। বিক্ষোভ মিছিল থেকে সৌদি রাজা সালমান বিন আব্দুলআজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের ছবিও আগুন দিয়ে জ¦ালিয়ে দেওয়া হয়। জেরুজালেম আল-কুদসকে দখলদার ইসরাইলের রাজধানী করার মার্কিন ও ইহুদিবাদী প্রচেষ্টায় সৌদি আরবসহ আরও কিছু আরব দেশের বিরুদ্ধে ইন্ধন যোগানোর অভিযোগ তোলে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তাদের হাতে ‘সৌদি রাজতন্ত্র ধ্বংস হোক’ লেখা প্ল্যাকার্ড শোভা পায়। জায়নবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে সমগ্র জেরুজালেম শহরকে নিজের রাজধানী বলে দাবি করে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের সম্ভাব্য রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখতে চায়।
