আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমার প্রিয় শিক্ষক

জীবনীঃ আমার প্রিয় শিক্ষক।
লেখকঃ মোঃতৌহিদ আহম্মেদ লিখন।

পৃথিবীর সৃষ্টি হতে বর্তমান পর্যন্ত যত শিক্ষাগুরু এসেছেন, তাদের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যক শিক্ষক আছেন যারা তাদের প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতি সমান নজরে দেখতেন। এমন বিচক্ষণতার শিক্ষক কজন মেলে? তবে অনেকেই আছেন যাদের মধ্যে আবির্ভূত হয়েছেন আমার প্রিয় শিক্ষক হুমায়ুন কবীর স্যার। তাঁর বিচক্ষণতাকে আবিষ্কার কারার মতো অনেক শিক্ষার্থীই আছে। তবে যারা তাঁর সংস্পর্শে আসেনি তারা কি করে আবিষ্কার করতে পারবে স্যারের বিচক্ষণতা? সবাই না পারলেও আমার মতো তুচ্ছ এক ছাত্র লিখতে বসেছি উনাকে নিয়ে এবং উনার সামান্য গুণাগুণ তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আগেই তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনীর বিবরণ দেই। তিনি নেত্রকোনা জেলার মদন থানা পরশখালি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশবকাল কেটেছে নিজ গ্রামেই।ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি হচ্ছেন তৃতীয়। শৈশবেই তার মাঝে কিছু প্রতিভা ফুটে উঠে যা তাঁর বাবা-মা উপলব্ধি করেছিলেন। তাই তাঁর বাবা-মা তাকে নিয়ে অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। শিক্ষা জীবনে তিনি অনেক মেধাবী ছিলেন। তিনি মদন আদর্শ পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় এর ছাত্র ছিলেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তিনি ভালোভাবে লেখাপড়া করতে শুরু করেন এবং এই বিদ্যালয় হতেই তিনি সাফল্যের সহিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি নেত্রকোনা সরকারি কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে অনেক সুনাম অর্জন করেন।এরপর তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে শহরে চলে আসেন এবং তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ের উপর লেখাপড়া করেন।তাঁর ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল নিজেকে সমাজের মধ্যে বড় করে তুলে ধরা এবং দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকা। এরই সাপেক্ষে তিনি ভাবতেন তাকে উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করতে হবে এবং স্বপ্ন দেখতেন বিসিএস ক্যাডার হয়ে সমাজে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার। এজন্য তিনি ৩৪ তম বিসিএস পরিক্ষা দেন এবং তিনি সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের দায়িত্ব পান। এরপর তিনি শেরপুর জেলার শ্রীবরদি থানার শ্রীবরদি সরকারী কলেজে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। বর্তামানে তিনি একজন মানুষ গড়ার কারিগর। যার আদর্শে হাজারো শিক্ষার্থী হচ্ছে আদর্শবান। তাঁর এলাকাবাসীরা তাকে নিয়ে অনেক গর্ব করেন।তিনি এলাকার গর্ব বলে দাবি রাখেন এলাকাবাসী। এমনটায় হতে চেয়েছিলেন তিনি আর আল্লাহর অশেষ কৃপায় তিনি তা অর্জন করতে পেরেছেন। তিনি শুধু শিক্ষক হিসেবেই নন বরং শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি কলেজের নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অসামান্য অবদান রাখেন।কলেজের প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতি তার স্নেহ-ভালবসার দিক থেকে কমতি নেই।তার সুন্দর আদর্শ ও বিচক্ষণতা দেখেছি ক্লাসের শুরুতেই। তিনি ক্লাসের শুরুতেই কিছু মজার মজার গল্প বলেন যেগুলো পড়ালেখার প্রতি সকলের আগ্রহ জন্মায়। পড়ার পাশাপাশি তিনি এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাবিত করে। আমার মতে তাঁর প্রতিটি উপদেশ এক একটি মহাকাব্যের সমতুল্য। তিনি আমাদের আদবের শিক্ষা দেন তার পাশাপাশি কার সাথে কিরূপ আচার-ব্যবহার করা উচিৎ সেই বিষয়েও শিক্ষা দিয়ে থাকেন।তাঁর প্রতিটি উপদেশ সাক্ষ্য দেয় তিনি কতটা বিচক্ষণতার অধিকারী। তিনি যে আমাদের নিয়ে কতটা চিন্তাভাবনা করেন তার প্রমাণ পেয়েছি তাঁর মুখে বলা একটি গল্পে। তাঁর হাসি মাখা মুখে অনেক উপদেশ শুনেছি যেগুলো জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই কাজে লাগে এবং ভবিষ্যতেও কাজে লাগবে। আমাদের জন্য তাঁর আর্শিবাদ সবসময় থাকে এবং চিরকাল থাকবে।জানি না আমরা বা বিশেষ করে আমি কতটা সম্মান করতে পারি তাকে। তবুও তাঁর কাছে ক্ষমার মতো মূল্যবান জিনিসটি পেয়ে থাকি সবসময়। আমি মনে করি তিনি একজন আদর্শের প্রতীক। তিনি আমাদে আদর্শবান শিক্ষকদের মধ্যে একজন অন্যতম শিক্ষক।তাঁর আদর্শে আমিও আদর্শ হতে চাই।এছাড়াও আমি এই প্রত্যাশা করি, যেন সকল শিক্ষার্থী তাঁর আদর্শে আদর্শবান হতে পারে। তাঁর প্রতি আমার অজস্র ভালাবাসা ও শ্রদ্ধা ভক্তি সালাম রইলো। তাঁর সাথে আমার খুব অল্প সময়ের পরিচয় তবুও যতটুকু তাঁর কাছে শিক্ষা পেয়েছি ততটুকু লেখবার সাধ্য আমার হলো না।।।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ