আজ সোমবার, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জামদানি উৎসবে মন্ত্রী গাজী

নবকুমার:

জামদানি উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। এবারের জামদানি উৎসব চলে পাঁচ সপ্তাহব্যাপী ।  ধানমন্ডির শেখ কামাল সরণির  বেঙ্গল শিল্পালয়ে ‘ঐতিহ্যের বিনির্মাণ’ শীর্ষক এ উৎসব শুরু হয় ৬ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন এর আয়োজন করে। উৎসবের প্রদর্শনীতে ছিল পুরোনো সংরক্ষিত জামদানি শাড়ির সংগ্রহ, গবেষণাসঞ্জাত তথ্য-উপাত্তসহ সোনারগাঁয়ের কৃতী জামদানি বয়নশিল্পীদের তৈরি একশ বছরের পুরোনো নকশার অনুকরণে অসাধারণ ও অবিশ্বাস্য নৈপুণ্যে নতুন করে বয়নকৃত জামদানি শাড়ি ও বস্ত্রসম্ভার।
উৎসবের সৃজন সহযোগী হিসেবে আছে আড়ং, অরণ্য, কুমদিনী হ্যান্ডি ক্র্যাফটস ও টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির।
শনিবার বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠানে জামদানি বয়নশিল্পীদের সনদ প্রদান করেন গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক । পরে তিনি বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।  এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া  উৎসবের পাশাপাশি এ আয়োজনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁকে ওয়ার্ল্ড ক্র্যাফটস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ‘ওয়ার্ল্ড ক্র্যাফট সিটি’র মর্যাদালাভের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ লক্ষ্যে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওয়ার্ল্ড ক্র্যাফটস কাউন্সিলের বিচারক দল বাংলাদেশ ঘুরে যায়। এরই মধ্যে ওয়ার্ল্ড ক্র্যাফটস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁকে ‘ওয়ার্ল্ড ক্র্যাফট সিটি’র মর্যাদা দেওয়ার অনুমোদনপত্র আয়োজকদের হাতেও পৌঁছেছে। ফলে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো স্থান ‘ওয়ার্ল্ড ক্র্যাফট সিটি’র মর্যাদা লাভ করল। আর এর মাধ্যমে জামদানি শিল্পের পীঠস্থান হিসেবে সোনারগাঁর সুনাম ও কৃতিত্ব বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি ক্রিয়েটিভ ট্যুরিজমের দ্বারও উন্মোচিত হবে এবং স্থানীয় উদ্ভাবনী শক্তি, মেধা ও অভিজ্ঞতার পরিধিও বিস্তৃত হবে। পাশাপাশি জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতা ও কৌশল বিনিময়ের ক্ষেত্র তৈরি হবে। এছাড়া  ভারতের মহাবলিপুরম (পাথর খোদাই) ও জয়পুর (গয়না), চিনের ফুশিন (অ্যাগেট), থাইল্যান্ডের সাখন নাখন (ইন্ডিগো ডাই), ডেনমার্কের বর্নহোম (সিরামিক), ইরানের কারপোরগান (মৃৎশিল্প) ও ইসফাহানসহ বিশ্বের বিভিন্ন ক্রাফট সিটির সঙ্গে সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব ও বিনিময়ের অভিনব সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশ সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের উদার সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য এ গৌরব বয়ে এনেছে।

সর্বশেষ সংবাদ