আজ সোমবার, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ক্যাসিনো সেলিমের দখলে ভুলতায় জ্যাম

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানের মালিকানাধীন জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এন্ড পেপারস লি. এর দেয়াল। এছাড়া সরকারের মেগা প্রকল্প ভূলতা ফ্লাইওভার সংলগ্ন মহাসড়ক দখল করে মসজিদ ও দেয়াল নির্মাণ করেছে সে। বেদখল হওয়া এ জায়গা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। মহাসড়ক দখল করে রাখায় ভূলতা ফ্লাইওভারের নিচের অংশে ৬০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা ১৫ ফুট হয়ে গেছে। এতে করে ওই অংশে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়ে শত শত যানবাহন আটকে পড়ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ৩৫৩ কোটি ৩৬লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪ লেন বিশিষ্ট তিন তলা ভূলতা ফ্লাইওভারের পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাওঘাট এলাকায় জাপান বাংলাদেশ গ্রুপের নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানটি সওজের প্রায় ৭ শতাংশ জমি দখল করে সেখানে একটি বহুতল মসজিদ ও পাকা দেয়াল নির্মাণ করেছে ক্যাসিনো  সম্রাট সেলিম প্রধানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। সওজের একজন কর্মকর্তা জানান, ভূলতা ফ্লাইওভারের কাজ শুরুর পর সওজের বেদখলে থাকা ওই ৭ শতাংশ জমি প্রতিষ্ঠানটিকে ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু তারা জমিটুকু ছাড়েনি। বরং নতুন করে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করেছে। ফ্লাইওভারের পূর্ব পাশে নিচের সড়কটি প্রায় ৬০ফুট প্রশস্ত হলেও পশ্চিমে সিলেটমুখী সড়কটি মাত্র ১৫ ফুট প্রশস্ত। ঢাকা থেকে সিলেটমুখী যানবাহনগুলো চলাচল করতে গিয়ে ওই সরু জায়াগায় আটকে যাচ্ছে। সংকুচিত ওই অংশে ধীর গতিতে একটা একটা করে যানবাহন পার হতে গিয়ে পেছনের দিকে শত শত যানবাহন আটকে যাচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। সেই যানবাহন এক পর্যায়ে ভয়াবহ আকার ধারন করে। যার প্রভাব গিয়ে পড়ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাচঁপুর অংশে।

এ প্রসঙ্গে বাস চালক জাকির হোসেন বলেন, সরকার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে মেগা প্রকল্প করেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভূলতা ফ্লাইওভারের মতো মেগা প্রকল্প করার পরেও সাওঘাট এলাকায় এসে যানজটে পড়তে হয়। ১৫ ফুট প্রশস্ত সড়ক দিয়ে বড় বড় যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এ অংশটুকু প্রশস্ত করলে যানজট আর থাকবে না। ট্রাক চালক কাদের বলেন, এতো বড় একটা মেগা প্রকল্পও বাস্তবায়ন হলেও আমরা সুবিধা পাচ্ছি না। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে জায়গা দখল করতে। এই যুক্তি মাথায় রেখেই এ কাজ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিত সাড়ে ৩‘শ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প তথা প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি লাঘবে ওই মসজিদ ভেঙ্গে মহাসড়ক প্রশস্ত করা। এ বিষয়ে ভূলতা ফ্লাইওভার প্রকল্প পরিচালক রিয়াজ হোসেন বলেন, আমরা কয়েকবার সওজের জমি উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি সত্য। কিন্তু যেকোনো মূল্যে ওই জায়গা উদ্ধার করে সড়কটি প্রশস্ত করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ