নিজস্ব প্রতিবেদক:
রূপগঞ্জে নগদ এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ও দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ জামাল হোসেন মৃধা (৪৫) নামে এক ব্যক্তি ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার ১ অক্টোবর দিবাগত রাতে উপজেলার তারাবো পৌরসভার রসুলপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। জামাল হোসেনের দুই সহযোগী হলেন, মোস্তফা (৩৫) ও মানিক (৩৪)।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, গোপনে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে খবর আসে, জামাল হোসেন মৃধার বাড়িতে এক লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি চালান প্রবেশ করবে। এর ভিত্তিতে বিকাল থেকে ওই এলাকায় নজরদারি বাড়ায় পুলিশ। মঙ্গলবার মধ্যরাতে জামাল হোসেনের রসুলপুর এলাকার চারতলা বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। এসময় একটি বাক্সে এক কোটি ও আমলমারিতে ২৫ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া বাসার নিচ তলার ফ্ল্যাটের অফিস থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, জামাল হোসেন মৃধা নিজেকে তিনটি কয়েল ফ্যাক্টরির মালিক দাবি করেছে, কিন্তু সে ফ্যাক্টরির অনুমোদন পত্র বা কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। জব্দ করা টাকার বৈধ কোনও উৎস দেখাতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, টাকাগুলো হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার জন্য রাখা হয়েছিল। কয়েল ব্যবসার আড়ালে সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হারুন অর রশীদ আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করা হবে। পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় কয়েল ফ্যাক্টরি নির্মাণ করে পরিবেশের ক্ষতিসাধান এবং পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় পরিবেশ আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হবে। তিনি বলেন, ‘জামাল হোসেনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বাড়িতে এত টাকা কী কারণে রেখেছিল, ইয়াবা ব্যবসা করে সে কত টাকার মালিক হয়েছে এবং তার সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’