টেন্ডার সম্রাট সোনারগাঁয়ের জি কে শামীমের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য বুধবার (২ অক্টোবর) দিন ধার্য করেছেন।
আদালতের গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপ-পরিদর্শক শেখ রবিকুল রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় জি কে শামীমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শামীম বর্তমানে অন্য মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। এরপরই তাকে গ্রেফতার ও রিমান্ড বিষয়ে শুনানি হবে।’
এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর জি কে শামীমসহ তার সাত দেহরক্ষীকে গুলশান থানার মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদনে করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার সাত দেহরক্ষীকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দেখান।
শামীমের সাত দেহরক্ষী হলেন— দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে আসছিলেন। বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হওয়ায় গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিদের পুনঃগ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আরজি জানান তিনি।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর অবৈধ অস্ত্র ও মাদক মামলায় এ যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় পাঁচ দিন ও মাদক মামলায় পাঁচ দিন। এছাড়া সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ২০ সেপ্টেম্বর জি কে শামীমকে তার সাত দেহরক্ষীসহ গুলশান থানাধীন নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে আটক করে র্যাব। এসময় অফিসে অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে র্যাব। এছাড়া নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর (স্থায়ী আমানত) চেক ও ১শ কোটি টাকার চেক উদ্ধার করা হয়।