আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শ্রমিকদের দুষলেন সেলিম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ বাণিজ্যিক নগরী। এখানে ভাসমান মানুষের সংখ্যা বেশি। বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে প্রায় ২৫ লাখ শ্রমিক কর্মরত আছেন। লকডাউন ঘোষণার পর শ্রমিকেরা পায়ে হাটে যার যার জেলা ও শহরে চলে গেলেন। যখন বেতন দেওয়ার কথা শুনলো তখন আবার পায়ে হেটে নারায়ণগঞ্জে চলে আসলেন। এই যাওয়া আসার মাঝ পথে তারা করোনা বহন করে নিয়ে আসলো। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ করোনা ভাইরাসের রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হলো। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কলেজের মাঠ প্রাঙ্গনে শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের মাধ্যমে ২৭০০ পরিবারের মাঝে ৫৪ হাজার কেজি চাল বিতরনের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি সেলিম ওসমান আরও বলেন, আপনারা যারা পরিবহনের সাথে জড়িত তারা একদিক থেকে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখার কাজেও ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু আমি হতবাক হয়েছি আপনারা গাড়িতে উঠার আগেই আপনাদের সমিতির নেতারা চাঁদা আদায় করেন শ্রমিকদের কল্যান সমিটির নামে। তিনি বলেন, যদি ঈদের আগে শ্রমিকদের সন্তোষ্ট না করা হয় তাহলে এই বিষয়টি দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আর পরিবহন শ্রমিকদরে মাধ্যমেই
চাল বিতরন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর আওয়ামীলীগের নেতা এহসানুল হাসান নিপু, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম রাফেল প্রমুখ।
এছাড়া চলতি রমজান মাসে করোনা সংকট মোকাবেলায় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। যার মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন ৭টি ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড এলাকায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ২০ কেজি চালের সমপরিমান ৯০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিকাশ একাউন্টে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার জন্য প্রতিটি কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান মেম্বারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ