আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫০ মাদক বিক্রেতা চষে বেড়াচ্ছে আলীরটেক

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ: সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম মাদকের কড়াল গ্রাসে নিমজ্জিত হলেও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার জোরালো ভূমিকা না থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যমতে, আলীরটেক ইউনিয়ন মাত্র ছোট-বড় ৫০ জন মাদক ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কুড়েরপাড় গ্রামের নুর হোসেন গেদা, একই গ্রামের বড় মোকতার, আলীর পুত্র মেহেদী, আব্দুলের পুত্র মিজান, মরা মোকতার, করম আলীর পুত্র হোসেন ওরফে পেটফারা হোসেন ওরফে স্বর্ন চোরা, মোঃ আলীর পুত্র মেহেদী ওরফে ডিলার মেহেদী, আব্দুল ওরফে বরিশাইল্যা আব্দুল, নওয়াব মিয়ার পুত্র দুদা, পুরান গোগনগর গ্রামের সামসুল পাঠান, গোপচর ড়্রামের হাবিবুর ও কাঠ মোল্লার পুত্র মোজাম্মেল, ক্রোকের চরগ্রামের জামাল ও সালাউদ্দিন, ডিক্রিরচর গ্রামের নোয়াব মেম্বারের পুত্র মাহাবুব, বাদশার পুত্র রুহুল আমিন, মুক্তারকান্দি গ্রামের আলামিনের ভাই তপন, আলীরটেক গ্রামের মৃত আব্দুল হাসেমের পুত্র কবির ওরফে ইয়াবা কবির, একই গ্রামের মুন্না ওরফে কাইল্যা মুন্না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের শেল্টারে থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা মহোৎসবে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। যার দরুন আলীরটেকে দিন দিন মাদকে সয়লাব হলেও কোন প্রতিকার নেই। আলীরটেকে মাদকের ব্যাপক বিস্তারে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবক মহল চিন্তিত হয়ে পড়েছে। সব পেশা ও শ্রেনীর মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচাজ শাহীন শাহ পারভেজ বলেন, নদী বেষ্টিত হওয়ায় পুলিশ সহজে যেতে পারে না। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ছাড় নেই। আমি বিশেষভাবে আলীরটেক নিয়ে দেখবো।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, সদর মডেল থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করেন। এসপি স্যারের নির্দেশ পেলে মাদক ব্যবসায়ীদের আটকে ব্যবস্থা নিব।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ