আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩ বছর ধরে নিখোঁজ সাকি

রায়হান কবির নিলয়:

শিশু সাদমান সাকি অপহরণ মামলার তদন্ত সিআইডি থেকে বদলি করে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকালে ফাইনাল রিপোর্টে শুনানীতে বাদী পক্ষের নারাজি শেষে এ আদেশ দেন নারায়ণগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন। প্রায় ৩ বছর আগে শহরের দেওভোগ থেকে অপহরণ হয় সাদমান সাকি। এ ঘটনায় স্থানীয় একজন কাউন্সিলরের জড়িত থাকার কথা শোনা গিয়েছিলো। তবে এখনও সে রহস্য উদঘাটন হয়নি।

এ বিষয়ে নারী ও শিশু আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটার ও মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জাসমীন আহম্মেদ জানান, ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর শিশু সাদমান অপহরনে পর তার বাবা বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি কালো হাতের ছায়ায় পিবিআইয়ের কাছে তদন্তভার যায়। পিবিআই সঠিক তদন্ত না করে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করে এবং বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ না করেই ৩ মাসের মাথায় ফাইনাল রিপোর্ট দেয়। এবং জিল্লুর রহমান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।

জিল্লুর রহমানের কললিস্ট ধরেই সোহেল আহম্মেদ অররা, আব্দুর রহমান তপন, জুনিয়র আহম্মেদ সবুজ নামের আরও ৩জনকে গ্রেপ্তার করে যারা বর্তমানে জামিনে রয়েছে। পিবিআই ফাইনাল রিপোর্ট দিলে আমরা আবারও নারাজী দিয়ে র‌্যাবের কাছে তদন্তবার হস্তান্তরের জন্য আবেদন করলে তদন্তবার সিআইডির কাছে দেওয়া হয়। সিআইডি একই জিনিস ফাইনাল রিপোর্ট দেয় এবং আমরা নারাজি দিলে আদালত আজ র‌্যাবের কাছে তদন্তভার হস্তান্তরের আদেশ দেন। তিনি জানান, র‌্যাবের কাছে দেয়ায় এ মামলার তদন্ত কাজ খুব তাড়াতাড়িই শেষ হবে বলে আশা করছি।

সাদমান সাকির পিতা সৈয়দ উমর খালেদ এপন জানান, আমি ৩ বছর যাবৎ আমার সন্তানকে ফিরে পেতে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। তবুও আমার সন্তানকে ফিরে পাচ্ছি না। র‌্যাবের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। আশা করি সঠিক তদন্ত হবে।

মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর দুপুরে অপহরণ হয় দেড় বছরের শিশু সাদমান সাকি। ওই দিন রাত ৯টায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করে সাকির বাবা। ১২ দিন পর ১৩ ডিসেম্বর মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ। কিছু দিন পর দায়িত্ব নেয় পিআইবি। এছাড়া সাকিকে উদ্ধারের জন্য র‌্যাবের কাছেও একটি আবেদন করেছে পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে পিআইবির রিপোর্টে বাদী পক্ষ আদালতে নারাজী দিলে সিআইডিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। গতকাল এ মামলার তদন্ত করতে র‌্যাবকে দায়িত্ব দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ