আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩৬টি রাজনৈতিক মামলা, তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র নয়

মশিউর রহমান রনি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের এই সভাপতি। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির রাজনীতি করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন অসংখ্যবার। দুই বছর আগে নিখোঁজও হয়েছিলেন এই নেতা। যদিও পরবর্তীতে তাকে বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অথচ, রাজপথে সক্রিয় এই নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে দেয়া হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সাথে সখ্যতা রাখার অভিযোগ। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, অন্তত মশিউর রহমান রনিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র মানায় না।
সম্প্রতি জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনির অব্যহতির দাবীতে কেন্দ্রে আবেদন পাঠিয়েছেন ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা। লিখিত ঐ অভিযোগে উল্ল্যেখ করা হয় রনির আত্মীয় ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

দলীয় সূত্র মতে, বিরোধী দলের রাজনীতি করতে গিয়ে ৩৬টি মামলা খেতে হয়েছে মশিউর রহমান রনিকে। এর সবক’টিই রাজনৈতিক মামলা। সর্বশেষ রাজধানী ঢাকা থেকে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হন তিনি। এরপর জানা যায়, সাদা পোষাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। যদিও একথা অস্বীকার করে তৎকালীন গোয়েন্দা বিভাগ। তার দু’দিন পর খবর আসে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর থেকে রনিকে বিদেশী অস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলায় ১৪১দিন কারাভোগের পর ছাড়া পান ছাত্রদলের এই নেতা।

নেতাকর্মীদের দাবি, হামলা-মামলা পেড়িয়েও কেন্দ্র ঘোষিত যেকোন কর্মসূচীতে ব্যানার-ফেস্টুন কিংবা মাইক হাতে সবার আগে দাড়াতে দেখা গেছে রনিকে। এতো মামলা খেয়েও থেমে থাকেননি বরং নেত্রী যখন জেলে ছিলেন সেসময়ে রাজপথের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে রনিকে।

তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, মশিউর রহমান রনি নারায়ণগঞ্জ ছাত্রদলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী আদর্শ। তার মতো ত্যাগ-তীতিক্ষা খুব কম নেতাকর্মীকেই করতে দেখা গেছে। সেই নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অযথা অভিযোগ দেয়া মানায় না। অন্তত ৩৬টি মামলা খাওয়া নেতাকে নিয়ে এসকল ষড়যন্ত্র শোভা পায় না।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ