আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩০ বছরেও উন্নয়ন হয়নি যে রাস্তার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন আলীরটেক ইউনিয়নের কুঁড়েরপার ব্রীজ সংলগ্ন সবুজনগর থেকে ছমির নগর রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় পরে আছে। পুরো সড়কটি মাটির রাস্তা হওয়ায় খানাখন্দে ভরপুর হয়ে আছে। রাস্তাটি ধলেশ্বরী শাখা নদীর সাথে হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে। ১২ ফিট রাস্তার ৫ ফিটই ভাঙা। একই সাথে ১৫ গজ পর পর বিভিন্ন গর্তে ভরা। বৃষ্টির কারণে ওই সব গর্তে পানি জমে প্রায় ডোবায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে করে মানুষের ব্যপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসির অভিযোগ, ৩০ বছরেও এই রাস্তার কোন উন্নয়ন হয়নি।

স্থানীয়বাসিন্দারা জানান সবুজ নগর, চর আলীরটেক, ছমির নগর, গঞ্জকুমারিয়া সহ ৬ গ্রাম মানুষের যাতায়াত এ রাস্তা দিয়ে। ৩ কিলোমিটার জুরে রাস্তাটি চরম বেহাল দশা। গোটা রাস্তা মাটির হওয়ায় অংসখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে যাতায়াত করা খুবই দুষ্কর। এই ছয় গ্রামে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এই জায়গা দিয়ে আগে ইজিবাইক চলাচল করতে পারলেও এখন তাও সম্ভব হচ্ছে না। বেহাল রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

চর আলীরটেকের বাসিন্দা রহিম বাদশা বলেন, আমাদের এই এলাকার সড়কটি ৩০ বছর আগে মাটি দিয়ে বাধা হয়। কিন্তু দুঃখের কথা হলো আজকে ৩০ বছর পরেও এখনো মাটির রাস্তাই রয়ে গেছে। কোন উন্নয়নের ছোয়া পরে নাই। তবে শুনেছি ইদানিং নাকি এই সড়কের টেন্ডার হয়েছে। কবে কাজ ধরবে তা জানি না।

ছমিনগরের জয়নাল বলেন, এই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় নদীর ঢেউয়ে ১২ ফিট রাস্তার ৫ ফিট ওই ভেঙে গেছে। যার জন্য এখানকার মানুষদের হেটে চলাচল করতে হয়। শিশু শির্ক্ষাথীরা মাদরাসায় যাতায়াতে করতে গেলে কাদায় হোচট খেয়ে পরে যায়। অপর দিকে গর্ভবতী মায়েদের চলাচলে কষ্টের যেন শেষ নাই। তার পাশে আরেকজন বলে উঠেন, কত চেয়ারম্যান, মেম্বার আসলো আর গেলো কিন্ত এই সড়কের আর উন্নয়ন হলো না। জনপ্রতিনিধিরা যদি এবার নজর দেন।

এ বিষয়ে আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি বলে সাথে সাথে ফোন কল কেটে দেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ