আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১১ দফা দাবিতে সিপিবির বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডিএনডি জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান, পানিবন্দি ঘরবাড়ি ও মানুষ বাঁচাও, ড্রেন, খাল এবং ভাঙা রাস্তা মেরামত, ডাইংয়ের ক্যামিকেল মেশানো পানি থেকে পরিবেশ বাঁচানো, চিকিৎসা ব্যবস্থা পুনর্গঠনসহ শ্রমিক ছাটাই বন্ধকরণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা। শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় সমাবেশটি আয়োজিত হয়।

এসয় উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা করোনা মোকাবেলায় ১১ দফা দাবি জানিয়ে বলেন, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ অনুসারে আপদকালীন জরুরী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি উপজেলায় করোনা নমুন সংগ্রহ কেন্দ্র, প্রতি জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। সব হাসপাতালে হাই-ফ্লো অক্সিজেন ব্যবস্থাসহ অক্সিজেনের পর্যাপ্ত উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। শারীরিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। আয়বিহীন ২ কোটি পরিবারকে করোনা বিপর্যয়কালীন সময় বিনামূল্যে খাদ্য-অর্থ সরবরাহ এবং স্থায়ীভাবে রেশনিং ব্যবস্থা করতে হবে। দুর্নীতি, লুটপাট, দলবাজি বন্ধ করতে হবে। ক্ষেতমজুর-দিনমজুরদের জীবন জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিক কর্মচারী ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে। কালো টাকা ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, প্রতি বছর সামান্য বৃষ্টিতেই ডিএনডি বাঁধের প্রায় সর্বত্রই পানিতে ডুবে যায়। কোথাও কোথাও ঘর বাড়ী এমনকি রান্না ঘরে হাটু পানি জমে। রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে থাকে। কারখানার মেশিনপত্র পানির নিচে তলিয়ে যায়। পুরো বর্ষাকাল স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অচল হয়ে পড়ে। বেশ কয়েক বছর যাবৎ সিপিবি, বাসদ, বামজোটসহ বিভিন্ন সংগঠন ডিএনডি জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্দোলন করে আসছে। ইতিপূর্বে পদযাত্রা, সভা সমাবেশ ও ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সেনাবাহিনীর উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসনের কার্যক্রম চলছে, কয়েক মাসের মধ্যেই সংকট সমাধান হয়ে যাবে। লক্ষ্য করলাম তিন বছর অতিবাহিত হতে চলল কিন্তু জলাবদ্ধতা আগের মতই আছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বিমল কান্তি দাস, জেলা কমিটির সদস্য দুলাল সাহা, আব্দুল হাই শরীফ, ইকবাল হোসেন, এম এ শাহীন, মোঃ জালাল আহমেদ ও সংস্কৃতি কর্মী জহিরুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ।

এসএমআর

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ