আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে ১০ ই এপ্রিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ

১০ ই এপ্রিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ

১০ ই এপ্রিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ

১৯৭১ সালের ১০ ই এপ্রিল আমরা এই দিনটি ভুলতে বসেছি।আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে ১০ ই এপ্রিল খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। ১০ ই এপ্রিল যে সরকার গঠিত হয়ে ছিলো তার দিকটি ছিলো  স্বাধীনতার সনদ । ১০ ই এপ্রিল মুজিব নগর সরকার গঠিত হয় ।

এ সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, শরণার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা মেটানো, অধিকৃত বাংলাদেশে প্রশাসন ব্যবস্থাপনা সামলানো, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, খাদ্য রসদ সংগ্রহ, চিকিৎসা সেবা দান, পররাষ্ট্র বিষয়ক তৎপরতা সচল রাখা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সর্মথন,সহযোগিতা আদায় ইত্যাদি যাবতীয় রাষ্ট্রীয় কর্মকা- পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যায়।

এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে  পত্র প্রেরিত হয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুদ্ধরত অঞ্চলকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে প্রতিটিতে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়। তবে ১০নং বা নৌ সেক্টরে কোন সেক্টর কমান্ডার ছিল না, কমান্ডোরা যখন যে এলাকায় অভিযান করত সে সেক্টরের কমান্ডারের অধীনে থাকত।

মেহেরপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠনের  ঐহিতহাসিক কারণ ছিল। কারণ ১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ নবাব সিরাজদৌলার শাসনের সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। এখানেই হারিয়েছিলো বাঙালিরা তাদের স্বাধীনতা।

মুজিবনগর সরকার শপথ নিয়েছিলো ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল, মেহেরপুরের মুজিবনগরে। মুজিবনগর সরকার শপথ নেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে এই এলাকা স্বাধীন ছিলো। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার ঘণ্টা কয়েক পরে পাক সেনারা জায়গাটি দখল করে নেয়। এরপর কলকাতার থিয়েটার রোডে মুজিবনগর সরকার পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং সরকার পরিচালিত হয়।

কিন্তু বিগত সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা  নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানা থেকে অন্ধকারে রাখারও অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঐসময়ে পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ভুল ও বিভ্রান্তকর তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে তা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর সুদীর্ঘকালের রাজনীতি, ত্যাগ, জেল-ঝুলুম ও সংগ্রামের সফল বাস্তবায়নই হচ্ছে মুজিবনগর সরকারের দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধুর অনুপুস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারই আমাদের মহান ও সফল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে।

মুজিব নগর সরকারের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করা হয় । সেই স্বাধীনতার সনদে ছিলো সাম্য, মানবিক মর্যদা ও ন্যায় বিচার করা।বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ বৈষম্য হীন একটা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিটি মানুষের অঞ্চলে অঞ্চলে বিবেদ দূর করা এবং ধনী গরীবের পার্থক্য দূর করে প্রতিটি মানুষকে মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা।

দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশ শত প্রতিকূলতার ভিতর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত প্রস্তুত করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।যা আমাদের ৭২ এর সংবিধানে প্রতিফলিত আছে।তার ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুঃখি মানুষের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যে বিষয়টি ১০ ই এপ্রিল মুজিব নগর  সরকার গঠনের মাধ্যমে যে বিষয় গুলোকে সাংবিধানিক ভাবে সন্নিবেশিত করেছি এবং জাতীয় মুক্তি ও সেই লক্ষে আদর্শিক ভিত্তিতে পথ চলছে।

অধ্যাপক আবু সাইয়িদ

সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ