আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হাজারো কণ্ঠে গান গেয়ে ছায়ানটের বর্ষবরণ

হাজারো কণ্ঠে গান গেয়ে ছায়ানটের বর্ষবরণ

হাজারো কণ্ঠে গান গেয়ে ছায়ানটের বর্ষবরণ

হাজারো কণ্ঠে গান গেয়ে ছায়ানটের বর্ষবরণ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

বাংলা নতুন বছর ১৪২৫ সনকে হাজারো কণ্ঠে গান গেয়ে  বরণ করে নিল বাংলাদেশের অন্যতম সংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। ‘বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান’ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু করে সংগঠনটি।

শনিবার সকাল সোয়া ছয়টায় সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই রমনার বটমূলে ছায়নটের আয়োজনে শুরু হয় বর্ষবরণের প্রভাতী আয়োজন। হলুদ সবুজ পোশাকে প্রায় দেড় শতাধিক শিল্পী তাদের সুর-ছন্দ আর তাল-লয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় ৫১ বছরে পা রাখা ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির শিল্পীরা। ছায়ানটের এই আয়োজনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘আনন্দ, আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও মানবতা।ছায়ানটের শিল্পী-কর্মীদের জন্য বটমূল সংলগ্ন সামান্য জায়গা ছাড়া প্রায় গোটা প্রাঙ্গনই উন্মুক্ত রয়েছে সবার জন্য। বটমূলের বর্ষবরণ আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে সার্বক্ষণিক সহায়তা দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যরা।
সংগঠনের ৫১ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবারের আয়োজনে ছিল অনেক নতুনত্ব। ছায়ানটের প্রভাতি সংগীতানুষ্ঠান থেকে শুরু করে মঞ্চ সাজানোয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এছাড়া গানের তালিকায় আছে মানবতা, দেশপ্রেম ও উদ্দীপনামূলক কালজয়ী গান।

ছায়ানটের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভোর থেকে হাজারো মানুষ ভিড় করে রমনা বটমূলে। শিল্পীদের গান, কবিতা আর বাদ্যযন্ত্রের মুর্ছনায় তারা বিমোহিত হয়ে যান। অনেকে শিল্পীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অনুষ্ঠানস্থল মুখরিত করে তোলেন।

পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে প্রতি বছরই রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানট আয়োজন করে বর্ষবরণের উৎসব। নববর্ষের প্রথম দিন ভোর থেকে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসতে থাকে মানুষ। ঐতিহ্যবাহী এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভিড় জমায় অনেক বিদেশি দর্শনার্থীও।
কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী নিরাপদ করে তুলেছে বর্ষবরণের জন্য আসা শিশু থেকে তরুণ-তরুণী-অবাল-বৃদ্ধ-বণিতাসহ সকল বয়সের মানুষকে। পুরুষরা সাদা পাঞ্জাবি আর নারীদের সাদা শাড়িতে লালপাড় বর্ণিল করে তুলেছে রমনার সবুজ উদ্যান।

শিল্পীদের গানের তালে তালে মনের সকল জীর্ণতাকে মুছে ফেলে নতুন বছরে নিজেদের নতুন করে সাজানোর গল্প আঁকতে থাকেন উপস্থিত বৈশাখ বরণকারীরাও।

বরাবরের মতো এবারের আয়েজনটিও সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ