আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হাইকমান্ড তৈমূরকে চাচ্ছে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে বিএনপি এবার মেয়র পদে প্রার্থী দেবে কিনা। এসব বিষয় নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. তৈমূর আলম খন্দকারের সাথে সংবাদচর্চার এই প্রতিবেদকের গত ২৩ নভেম্বর কথা হয়।

তিনি বলেন, আমার জন্ম রাজপথে। রাজপথে থেকেই আমি বাকী জীবন কাটিয়ে দেবো। তৃণমূল থেকে উঠে এসেছি আমি। এই শহরের রিক্সা সমিতি থেকে শুরু বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন আমার হাতে প্রতিষ্ঠা করা। শহরের মানুষ আমার সাথে আছে। দলের সিদ্ধান্ত বড় সিদ্ধান্ত। দল যদি নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমরা প্রার্থী চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে নাম পাঠাবো। তার আগে সাবেক এমপি, মহানগর বিএনপির নেতাদের সাথে আলোচনা করবো। গত নির্বাচনেও দলের হাইকমান্ড আমাকে নির্বাচন করার কথা বলেছিলো। দলের স্বার্থে যা যা করা দরকার এবার তাই করবো।
একাধিক সুত্রের খবর বিএনপির হাইকমান্ড মেয়র পদে এবারও তৈমূর আলম খন্দকারকে চাচ্ছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও জোড়ালো দাবি উঠেছে তৈমূর আলমকে এবার মেয়র প্রার্থী করার ।

দলটির নেতারা বলছে, তৈমূর প্রার্থী হলে খেলা হবে। তারপক্ষে দলের নেতারা থাকবে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে তিনি সমানে টক্কর দিতে পারবেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সম্প্রতি তিনি সরব হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে তিনি স্মারকলিপি দিয়েছেন। তার সাথে মহানগর বিএনপিও সরব হয়েছে। তার নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলেও কিছু নেতার দ্বন্দ্ব আছে। সেটা বিএনপি কাজে লাগাতে পারবে কিনা তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে তৈমূর আলম খন্দকার এখন রাজপথে আছে। দলীয় কর্মীরা তার সাথে আছে । এখন বিএনপি নির্বাচনে এসে তাকে প্রার্থী করলে ভালো ফল পেতে পারে।

উল্লেখ্য যে কোনো সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ২০১১ সালের প্রথম নাসিক নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। ভোটগ্রহনের কয়েক ঘন্টা আগে দলের সিদ্ধান্তে তিনি নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী মেয়র নির্বাচিত হয়। এবার কি হয় তা সময় বলে দেবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ