আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনালী ব্যাংকের ড্রাইভারের ফুটপাতে অর্থ কেলেংকারি অভিযোগ

অপরাধ প্রতিবেদক

উড়ছে টাকা ধরবে কে? পদ থাকবে যার পাবে সে! পদপদবীধারী কিংবা সরকারি কর্মচারী বা তাদের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা বা আতাতকারীরাই পারবে এর ¯িœগ্ধতা উপভোগ করতে। সাধারণ মানুষের মেহনতের টাকাগুলো রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরাও ভোগ করছে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে। এছাড়া কথিত হকার নেতারা তো আছেই আর তাদের সাথে আছে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি বিশেষরা।

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম এর ড্রাইভারের বিরুদ্ধে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে সোনালী ব্যাংকের বুথের সামনের অংশের জায়গা ফুটপাতের জন্য ব্যবহার করতে দেওযার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বিকালে ব্যাংকের সামনে অভিযোগ করেন ভুক্তভূগি হকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভূগি হকার সংবাদচর্চাকে বলেন, তার পিতাকে ব্যাংকে চাকুরি দেয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা নেয় নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া সোনালী ব্যাংকের ডিজিএমের ড্রাইভার মিজান। পরে তিনি চাকুরি না দিতে পারায় ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ব্যাংকের বুথের সামনের অংশের জায়গা ফুটপাতের মালামাল বিক্রী করার জন্য ব্যবহার করতে দেন। আমরা বেশ কয়েকদিন যাবত এই জায়গায় মালামাল বিক্রি করেছি কিন্তু বর্তমানে এই জায়গা রহিম মুন্সি দখল করে নিয়েছে। আর এ বিষয়ে ড্রাইভার মিজানকে জানানো হলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেয় নি পরে আমরা টাকা ফেরত চাইলে তিনি আমাদেরকে বিভিন্নভাবে বাহানা দিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন আগে কথিত হকার নেতা রহিম মুন্সি তার দলবল নিয়ে আমার বড় ভায়ের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি কিন্তু রহিম মুন্সি ও তার দল বলের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।

৩০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকের বুথের সামনে অংশের জায়গা ফুটপাতের জন্য ব্যবহার করতে দেওযার অভিযোগের বিষয়ে ড্রাইভার মিজানকে একাধিকবার ফোনে করেও যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়াও বর্তমান চাষাড়া সোনালী ব্যাংকের বুথের সামনের জায়গা দখলের বিষয়ে কথিত হর্কাস লীগ নেতা রহিম মুন্সির সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আগে থেকেই ড্রাইভারের কাছ থেকে এই জায়গা দখল করে ব্যবসা করছি। আর তারা পরে এসেছে আর আমরা কারো মাথায় আঘাত।

অভিযোগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া সোনালী ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সংবাদচর্চাকে বলেন, মিজান নামে আমাদের নিজ তলায় কর্পোরেট শাখার কোন ড্রাইভার স্টাফ নেই। তবে দ্বিতীয় তলায় প্রিন্সিপাল শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের অধিনে মিজান নামে ড্রাইভার রয়েছে। আর হকারদের সাথে মিজান নামে সোনালী ব্যাংকের কোন ড্রাইভারের সর্ম্পক রয়েছে তা আমি জানিনা।

অন্যদিকে, নারায়ণগেঞ্জর চাষাড়া সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সংবাদচর্চাকে জানান, মিজান নামে কেউ নেই তবে নিজাম নামে ড্রাইভার রয়েছে এছাড়া তার হকারদের সাথে কোন ভাবেই জড়িত হওয়া সম্ভব নয় কারন ব্যাংকের সামনে জায়গার বিষয়ে নিজ তলার লোকজন দেখভাল করে আর তারাই বলতে পারবে। কে বা কারা ব্যাংকের সামনের জায়গা দখল করে বসে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ