আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনারগাঁয়ে র‌্যাবের অভিযান

সোনারগাঁ  উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় অবস্থিত এম. কে ফুডস্ ও এম.এম কনজুমার নামক ২টি কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে র‌্যাব ১১। এসময় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অননুমোদিত যৌন উত্তেজক লায়ন ফুড শরবত এবং ভেজাল কয়েল তৈরীর অপরাধে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় ওই অভিযান চলে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ সুমন মোল্লা, মোঃ রকিবুল ইসলাম, মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ, মোঃ রাজু বেপারী, মোঃ খায়রুল আলম, মোঃ হাবু বেপারী, মোঃ রাকিব হোসাইন, মোঃ আব্দুর রহমান, মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মোঃ তাহমীদ ইসলাম, মোঃ আনোয়ার হোসেন ও মোঃ রাশেদ গাজী।

ওই সময়ে ২ কারখানা হতে আনুমানিক ৭ হাজার ৩শ বোতল অননুমোদিত যৌন উত্তেজক শরবত ও বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ব্রান্ডের কয়েল এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যানও জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, গ্রেফতারকৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে উক্ত ২ কারখানা দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অননুমোদিত যৌন উত্তেজক শরবত এবং ভেজাল কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে।

এম.এম কনজুমার দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জাম্বু, গাংচিল, ইগলু, ম্যাক্স, নাইট মাস্টার ইত্যাদি বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন ব্রান্ডের নামে কয়েল তৈরী ও প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে আসছে।

এম.কে ফুডস্ এর উৎপাদনকৃত যৌন উত্তেজক লায়ন ফুডস শরবতগুলো প্যারাসিটামল পাউডার, টেস্টি সল্ট, স্যাগারিন, এমপিএস, ব্যাফেন, এসএস পাউডার, সোডিয়াম পাউডার, সাইট্রিক এসিড, ঘাম, ঘন চিনি, সাধারণ চিনি, ফ্লেভার ও রং সহ মোট ১৬ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরী করা হয় যা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

এই অননুমোদিত ভেজাল কয়েল ও যৌন উত্তেজক শরবত উৎপাদন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছে বলে গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। এভাবে কারখানা ২টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে যৌন উত্তেজক শরবত এবং ভেজাল কয়েল উৎপাদন করে জনস্বাস্থ্যের ও রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ