আজ রবিবার, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনারগাঁয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনির দাফনে যা বললেন আ.লীগ নেতারা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদেকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দাফনে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী সংগঠন। প্রতিবাদ জানিয়েছে সাধারণ জনগণও ।

এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই সংবাদচর্চাকে  বলেন, আমরা জানতাম না তার শ্বশুরবাড়ি সোনারগাঁয়ে। বঙ্গবন্ধু ও শিশু রাসেলের খুনি মাজেদের দাফন সোনারগাঁয়ে হবে আগে জানতে পারলে রাতেই বাধা দিতাম । এটা নারায়ণগঞ্জের জন্য নতুন একটা কলঙ্ক।

তিনি আরো বলেন, তোফায়েল আহমেদের এপিএসকে এই খুনি হত্যা করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিয়েছে। সোনারগাঁ খুনি মাজেদের লাশ দাফন করায় এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। আমি ব্যক্তিগত ভাবে খুবই ক্ষুব্দ।

সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক শামসুল ইসলাম ভুইয়া সংবাদচর্চাকে বলেন, সোনারগাঁ বারো আউলিয়ার উপজেলা। আমরা এখানে কলঙ্ক বহন করতে চাই না। বেলা ৩টার মধ্যে খুনি মাজেদের লাশ না সরালে সোনারগায়ের জনগণ লাশ রাখবে না। ইতোমধ্যে তার কবরে জুতা ঝাড়ু নিক্ষেপ করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ,যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীসহ সকল সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। আমি সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ সোনারগাঁয়ে  লাশ দাফনের  তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।

সোনারগা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম সংবাদচর্চাকে বলেন, ভোলার কলঙ্ক সোনারগাঁয়ে কেনো। আমরা সোনারগাঁবাসী খুনি মাজেদের লাশ সোনারগাঁয়ে রাখব না। আমার লোকজন লাশ উত্তোলনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। প্রশাসন আমাদের জানাবে বলেছে। লাশ না সরালে আমি নিজ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের লাশ সোনারগাঁ থেকে অপসারণ করব। তাতে আমার যে শাস্তি হয় হোক মাথা পেতে নেব।

এছাড়া শনিবার রাতে একটি বেসরকারী টেলিভিশনে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নাসিক মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াত আইভী তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ধরা হয়েছে, এটা  স্বস্তির বিষয় । ১৯৭৫ সালে অনেকগুলো হত্যাকান্ড হয়েছে। ৭৫ এ আমি অনেক ছোট ছিলাম। ১৫ আগষ্ট নৃশংস হত্যাকান্ডের পর এখন অবধি এই খুনিদের ব্যাপারে শুধু শুনেই এসেছিলাম। মাজেদ স্বঘোষিত একজন খুনি। তাকে ধরা হয়েছে এবং ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে, অবশ্যই আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে, আমার বাবা সারাটা জীবন এই দলের জন্য জীবনের শেষ মুহুর্ত্ব পর্যন্ত দলের জন্য কাজ করে গেছেন, তাই আমার জন্য স্বস্তির বিষয়।  জাতি কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে। অবশ্যই আমার খুব ভালো লাগছে।
প্রসঙ্গত রবিবার রাত ১২ টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রী কারাগারে মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ