আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেজান জুস কারখানায় আরও দুটি দেহাবশেষ উদ্ধার

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রূপগঞ্জে সেজান জুস ( হাসেম ফুড) কারখানায় তল্লাশি করে আগুনে পুড়ে যাওয়া আরও দুটি দেহাবশেষ (হাড় ও কঙ্কাল) উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডি পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম। এর আগে বিকেল থেকে রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া আর কোন মরদেহ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ভবনটিতে তল্লাশী করে ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডি পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চত করেছেন সিআইডির নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, ৩ শ্রমিক এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তল্লাশি শুরু করি। চতুর্থ তলা থেকে হাড়ের অংশ উদ্ধার করেছি। এগুলো ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে ঢামেকে প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম জানান, আমি শুনেছি দুটো কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করছে সিআইডি। উদ্ধারকৃত অংশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢামেকে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জের হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। নিহত তিন ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তখনই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। বাকি লাশগুলো আগুনে এতটাই পুড়ে যায় যে দেখে চেনা বা শনাক্ত করার উপায় ছিল না। পরিচয় শনাক্ত না হওয়া লাশগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে রাখা হয়। এরমধ্যে আগুনে পোড়া ৪৮টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে নিহতদের পরিবারের ৬৬ জন স্বজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার মধ্যে থেকে ৪৫ জনের লাশ শনাক্ত হয়েছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৮ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ফরেনসিক রিপোর্টে ৪৫ জনের লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ