আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেই হামলার ঘটনায় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের নামে মামলা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাদিম হোসেন অপুর উপর হামলা ও তার মোটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১১ জন ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীর নামে মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন ইছাখালীর সামছুল মিয়ার ছেলে তুষার, চনপাড়ার মৃত নুরু মিয়ার ছেলে জেমিন, আবু সালেক এর ছেলে রাসেল, ইছাখালীর রুবেল, সাদ্দাম, শরীফ, নগর পাড়ার শওকত আলী ইমন, চনপাড়ার আবু বক্কার (পিতা মৃত খালেক),পাড়াগাঁওয়ের ফেরদৌস, বরুনার সাকিব, ইছাখালীর ইমন। ২১ জানুয়ারি মামলাটি করেন নাদিম হোসেন অপু। রূপগঞ্জ থানায় মামলা নং ৪৮ ( তাং ২১/০১/২০২১)।

মামলার অভিযোগ থেকে জানান গেছে , নাদীম হাসান অপু ড্রেজার দিয়ে এলাকার অন্যের জমিতে বালু ভরাটের ব্যবসা করে। মারুফের মালিকানাধীন রূপালী পেপার মিলের নামে ক্রয় করা জমিতে গত ২০ জানুয়ারি সে বালু ভরাটের কাজ করে। বিবাদী ইছাখালীর সামছুল মিয়ার ছেলে তুষার, চনপাড়ার মৃত নুরু মিয়ার ছেলে জেমিন, আবু সালেক এর ছেলে রাসেল, ইছাখালীর রুবেল, সাদ্দাম, শরীফ, নগর পাড়ার শওকত আলী ইমন, চনপাড়ার আবু বক্কার (পিতা মৃত খালেক),পাড়াগাঁওয়ের ফেরদৌস, বরুনার সাকিব, ইছাখালীর ইমন তার উপর হামলা করে। বিবাদীরা নাদিম হাসান অপুর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না পেলে নাদিমকে শান্তি মতো ব্যবসা করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। গত ২০ জানুয়ারি দুপুরে কেওঢালায় রূপালী পেপার মিলের নামে ক্রয় করা জমিতে প্রবেশ করে তারা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে ছাত্রলীগ নেতা নাদিম হাসান অপু অস্বীকার করে। এর পর উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে আহত করে। নাদিমকে তার লেবার রুহুল আমিন ,অপু ,সোহেল, বাদশা বাঁচাতে এগিয়ে আসলে বিবাদী সন্ত্রাসীরা তাদেরকে মারপিট করে। হামলার এক পর্যায়ে জেমিন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে নাদিমের মাথায় আঘাত করলে তা বাদশা ফিরিয়ে দেয়। বাদশার হাত ভেঙ্গে যায়। ফেরদৌসের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে রুহুল আমিনের মাথায় কোপ দেয়। এতে সে আহত হয়। শওকত আলী ইমন নাদীম হাসান অপুর শার্টের পকেটে থাকা ৭৫ হাজার ৩ শত ৪০ টাকা নিয়ে যায়। আহতদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বিবাদী রাসেল ও রুবেল তার জিক্সার মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। বিবাদী শরীফ ,শাকিব, সাদ্দাম, আবু বক্কর , রুবেল ঘটনাস্থলে ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে চলে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তুষার ও শরীফের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ