আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সুযোগে বাড়লো মাস্কের দাম

গত কয়েকদিন ধরেই দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের। সাথে যোগ হচ্ছে নতুন মৃত্যুর সংখ্যাও। এমনকি করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণকারী অথবা ভ্যাকসিন নেয়নি এমন মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ‘নো-মাস্ক নো-সার্ভিস’ পলিসি মানা হচ্ছে। জনসাধারণকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনে বাধ্য করতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাস্ক না পরলে করা হচ্ছে জরিমানাও। সব মিলিয়ে মাস্ক ব্যবহারের চাহিদা বাড়তিতে। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে মাস্কের দাম বাড়ালো ব্যবসায়ীরা।


নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা প্রতিরোধ সামগ্রীর বিক্রি কমে গেলেও সম্প্রতি তা আবার বেড়েছে। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ এসব পণ্যের সরবরাহেও ঘাটতি নেই। কিন্তু তবু কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে বেড়ে গেছে মাস্কের দাম। কয়েকটি দোকানে আগের দামে এসব সামগ্রী  পাওয়া গেলেও অধিকাংশ দোকানে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।

বর্তমানে সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৫ থেকে ১০ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও আগেও ১০ টাকায় পাওয়া গেছে ৩ থেকে ৪টি মাস্ক। ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাপড়ের মাস্কের দামও এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া কেএন-৯৫ মাস্কের দাম ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এন-৯৫ মাস্কের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

চাষাড়ায় মাস্ক মাস্ক ক্রয় করতে আসা রবিউল ইসলাম জানালেন, মাস্কের ব্যবহার কিছুদিন ধরে বাড়ছে আর  এ সুযোগেই ব্যবসায়ীরা মাস্কের দাম বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, আগে ১০ টাকায় ৪টি মাস্ক ক্রয় করা যেত। এখন ১টি সার্জিক্যাল মাস্ক ৫ থেকে ১০টাকায় কিনতে হচ্ছে।

করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রেতা কামরুজ্জামান বলছেন, মাস্ক এখন মানুষ বেশি ক্রয় করছেন। পাইকারি মাস্কের দাম আগে থেকে বাড়িয়েছে বিক্রেতারা। আমিও আগে ১০টাকায় ৩পিস সার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রয় করেছি। এখন পাইকাররা দাম বাড়িয়েছে তাই আমাদেরও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ