আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আ.লীগ নেতার আশ্রয়ে বঙ্গবন্ধু ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের সম্পর্কে সিফাতের কটুক্তি

সিফাতের কটুক্তি

সিফাতের কটুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সম সাময়িক বিষয়ে কুরুচিপূর্ন (ছাপার অযোগ্য) মন্তব্য করে ভার্চুয়াল জগতে কুখ্যাত এক ব্যক্তির নাম সিফাত উল্ল্যাহ ওরফে সেফুদা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশ্লেষন করলে দেখা যায় ফেসবুক লাইভের শুরুতে নিজেকে একজন নাস্তিক দাবি করে আল্লাহ এবং হযরত মুহাম্মদ সঃ এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদ্বেষমুলোক কথা বলত।সেই সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনলাইন এক্টিভিস্ট এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।

রাতারাতি ভোল পাল্টিয়ে সেফুদা হঠাৎ বাংলাদেশের জনগনকে ছোট লোক,গরীব,মূর্খ ইত্যাদি নামে সম্বোধন করে জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,সজীব ওয়াজেদ জয়,তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু,সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,আওয়ামী লীগ,ছাত্রলীগ,প্রবাসীসহ বিভিন্ন পেশাজীবিদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা শুরু করে।

এই সব লাইভে সিফাত উল্লাহ নিজেকে কবি,সাহিত্যিক,বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক,অভিনেতা,জাতিসংঘের প্রতিনিধি রূপে উপস্থাপন করেন সাথে সাথে নিজেকে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসাবে পরিচয় দেয়।সে তরুণ প্রজন্মকে মদ খাওয়া আহবান জানান এবং নিজে লাইভে এসে মদ পান করে।কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সেফুদা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী পরিষদের অনেক সদস্যকে কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করে সাধারন মানুষের বিরাগভাজনে পরিনত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সেফুদা বর্তমানে ইউরোপের দেশ অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থান করছে।সে তার পরিবার হতে সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একাকি বসবাস করছে।তার নামে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের অভিযোগে আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেল খেটেছে।অষ্ট্রিয়া বসবাসের জন্য তার কোন বৈধ কাগজপত্র নাই।

সেফুদা সম্পর্কে জানার জন্য অষ্ট্রিয়ায় বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রবাসীরা বলেন ১৯৮৮ সালে সিফাত উল্লাহ ভিয়েনা আসেন,এখানে সবাইকে ঢাকার গোড়ানের স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে পরিচয় দেয়,মাঝে কিছুদিন শিক্ষকতা করে,শুরু থেকেই তিনি উশৃঙ্খল জীবন যাপন করত,এজন্য তার স্ত্রী সন্তানরা তাকে ত্যাগ করে অন্যত্র বসবাস করছে।ভিয়েনায় অবস্থান কালিন সময়ে ঢাকার গোড়ানের বাসিন্দা মোঃ নজরুল ইসলামের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং নানা বিপদ আপদে নজরুলের ছত্রছায়ায় অবস্থান করে।নজরুল সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে।ভিয়েনা বাঙালি কমিউনিটির মাঝে একটি কথা প্রচলিত আছে তা হল নজরুল নিজেকে একজন লেখক হিসাবে দাবী করে এবং নজরুলের অধিকাংশ বইয়ের পান্ডুলীপি এই কুখ্যাত সেফুদার রচনা করা।

যে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বাজে কথা বলে বেড়ায় তার সাথে একজন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা কিভাবে সম্পর্ক রাখেন বলে উষ্মা প্রকাশ করে অধিকাংশ প্রবাসী।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভিয়েনা প্রবাসী ব্যাক্তি আরো বলেন বর্তমানে বশির নামের একব্যক্তি সিফাত উল্লাহর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে,এই বশির বাংলাদেশের চট্রগ্রামের বহুল আলোচিত এইট মার্ডারের আসামী সাবেক শিবির নেতা।এই বশির বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের সাথে সম্মন্বয় করে সিফাত উল্লাহকে সরকার বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে প্ররোচিত করছে।আপাত দৃষ্টিতে সিফাত উল্লাহকে পাগল মনে হলেও তিনি সম্পূর্ন ইচ্ছাকৃত এবং পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সকল অপকর্ম পরিচালনা করছে।

বাংলাদেশ,বঙ্গবন্ধু,শেখ হাসিনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার জন্য সেফুদাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আইনের আওতায় আনার জন্য ভিয়েনা প্রবাসীরা অষ্ট্রিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে আবেদন করেছে এর সাথে সিফাত উল্লাহকে প্রশ্রয় দেওয়ার কারনে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ নজরুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ