আজ শুক্রবার, ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক রাসেল আহমেদ ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ উপপরিদর্শক নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার সকালে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে রাসেল আহমেদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল্লাহ আল মামুন পিপিএম। জুন (২০১৮) মাসের পারফরমেন্সে উপর ভিত্তি করে উপপরিদর্শক রাসেল আহমেদকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করে এই পুষ্কার দেওয়া হয়।

গত জুন (২০১৮) মাসে সিদ্ধরগঞ্জে মা ও দুই মেয়েসহ ট্রিপল মার্ডারের একটি ঘটনা ঘটে। আলোচিত সেই মামলার রহস্য উদঘাটন এবং খুব অল্প সময়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য উপপরিদর্শক রাসেল আহমেদকে ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত করা হয়। এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক রাসেল আহমেদ জানায়, মুলত ট্রিপল মার্ডারের এই ঘটনাটি রহস্যজনক একটি ঘটনা ছিলো। প্রথম দিকে এই মামলার কোন ক্লু ছিলো না। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় টানা দুই দিন নেত্রকোনার খালিয়াজুরি এলাকায় অভিজান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে নিহত আঞ্জুবির সতিন শোভার চাচাত ভাই সোহেলকে আটক করি। পরে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এবং কে কে জড়িত

ছিলো সবার নাম বলে। হত্যাকান্ডের মূল হোতা আঞ্জুবির সতিন শোভা পলাতক ছিলো। পরে শোভাকে অভিযান চালিয়ে ভৈরব থেকে আটক করা হয়। আর এদিকে মামলার তদন্তের শুরু থেকেই নিহত আঞ্জুবির স্বামি মাসুদ আটক ছিলো। সোহেলের জবানবন্দিতে মাসুদের জড়িত থাকার কথা জানাগেছে বিধায় সেও এই মামলার আসমী। আমরা লাশ উদ্ধারের ৪/৫ দিনের মধ্যে পুরো মামলটির কার্যক্রম সম্পন্ন করি এবং সকল আসামিদেরকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হই। মুলত আমার আজকের এই সম্মান প্রাপ্তির সমান অংশিদার আমার এই মামলার সাথে সম্পৃক্ত সিনিয়র অফিসারবৃন্দরাও।

উল্লেখ্য গত ১১ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে ড্রামের ভেতর অর্ধগলিত এক নরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ঈদের দিন (১৬জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের হাউজিং এলাকার একটি পুকুর থেকে বস্তাবন্দী এক মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এবং এর একদিন পর (১৮জুন) একই পুকুর থেকে বস্তাবন্দী আরেক মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ১৮ জুন যে বাচ্চাটি উদ্ধার করা হয় তার পরিচয় সূত্রে সবার পরিচয় পাওয়া যায়। ড্রামের ভেতর যেই নারীর লাশটি পাওয়া যায় তার নাম আঞ্জুবী আাক্তার (২৮), আঞ্জুবির মেয়ে মাইদা (৭) এবং আরেক মেয়ে মাহি (১৫ মাস)।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ