আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতারক ভুয়া সাংবাদিক গ্রেপ্তার

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকা হতে বহুমুখী প্রতারণার মূলহোতাসহ দুই জন প্রতারককে গ্রেফতার করে করেছে র‌্যাব-১১। গ্রেফতারকৃতরা হলেন রংপুরের প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ (৩৫), মোঃ আনিসুর রহমান (৪৫)।

গত ৩১ মে ৩ টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে ১টি প্রাইভেটকার, মোবাইল-২টি, ব্যানার, জীবনবৃত্তান্ত ফরম, সাংবাদিক আইডিকার্ড, তালাশ নিউজ-৭৯ টিভি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

বিকালে র‌্যাব-১১ এর সিনিঃ এএসপি (সিপিএসসি আদমজীনগর) প্রণব কুমার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তিনি জানান, বহুমুখী প্রতারক চক্রের মূলহোতা প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ ওয়াকিটকি সেট, মনোগ্রাম সম্বলিত জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ দেখিয়ে নিজেকে একাধারে ‘সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’ তালাশ নিউজ টিভি-৭৯ ও দৈনিক সত্যের সংগ্রাম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে পরিচয় প্রদান করে থাকে এবং সে ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে, ট্রাফিক পুলিশ ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চাকুরীর আশ্বাস দিয়ে এবং তার কথিত টিভি চ্যানেল ও ‘সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার’ অন্যান্য সদস্যপদে ও নিউজ চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে সরল বিশ্বাসী মানুষের কাছ থেকে চাকুরী প্রদানের আশ্বাস দিয়ে পরিকল্পনা মাফিক বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিত বলে জানায়। পরবর্তীতে তার কাছে কেউ টাকা ফেরত চাইলে তার কথিত টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে সে তাদের অত্যাচারের হুমকি প্রদান করত বলে ভুক্তভুগিদের কাছ থেকে জানা যায়।

তিনি আরও জানান , চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো এই যে, প্রদীপ চন্দ্র নিজে এক সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিল। ২০১৫ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
এছাড়াও অবৈধভাবে ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার ও বিতরণ করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারক প্রদীপ এর প্রধান সহযোগী আনিসুর রহমান নিজে মূলত একজন রিকশা চালক বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজে তাকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে আসছিল বলে জানা যায়। অভিযোগ প্রাপ্তির পর সরেজমিনে বিষয়টি সত্যতা যাচায়ের পর র‌্যাব-১১ তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই বহুমুখী প্রতারক চক্রের মূলহোতা ও তার সহযোগী আনিসুর রহমানকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-১১ এমন প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে এবং এই ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ