আজ বুধবার, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে জোড় করে স্কুল বেতন আদায়

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

চলমান করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বকেয়া বেতন নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জড়ো করেন শিক্ষকরা। প্রথমে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হুমড়ি খেয়ে গা ঘেষে শিক্ষকদের কাছে ভিড় জমিয়ে কিছু অভিভাবক বেতন পরিশোধ করেন। পরে অধিকাংশ অভিভাবকই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

রোববার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন এম ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়টিতে কিছুদিন পূর্বে ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখনও নতুন কোন কমিটি নির্বাচন করা হয়নি। তাই বিদ্যালয়টি পরিচালনার দায়িত্ব বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের হাতেই ন্যাস্ত।


ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা জানান, সরকার থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। করোনার শুরু থেকেই বিদ্যালয়ের শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে আমাদের কাজকর্মও নেই। আমরা শিক্ষকদের টাকা দেবো কোথা থেকে? এমন অবস্থায় শিক্ষরা আমাদের সন্তানদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ!

জানা যায়, বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে আসন্ন ঈদ উৎসবের ভাতা ও বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ১৮ জন শিক্ষক ও ২ জন ষ্টাফ এমপিওভুক্ত। এর বাইরে আরো কিছু সংখ্যক শিক্ষক এবং কর্মকর্তা রয়েছে। বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে ইতিমধ্যে এদের সকলের ঈদ বোনাস ও বেতন পরিশোধ করা হয়েছে বলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কো-অপট সদস্য জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক গাজী নাজমুল হুদা জানান, গত সপ্তাহে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে শিক্ষকদের বেতনের বিষয়ে বলেছিলাম। সেখানে বলা হয়েছে- স্বচ্ছল অভিভাকদের বোঝাতে পারলে বেতন নেওয়ার জন্য এবং অস্বচ্ছলদের কাছ থেকে না নেওয়ার জন্য।

তাছাড়া শিক্ষার্থীদের সাজেশন দেওয়ার জন্য আজকে অভিভাক ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে বলা হয়েছিল বলে তিনি জানান। যদিও অভিভাবদেরকে বেতন রশিদ বই হাতেই উপস্থিত দেখা গেছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ