আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবা পাচারকারী গ্রেফতার

ঢাকার সায়েদাবাদ ও সিদ্ধিরগঞ্জ হতে ৩ ইয়াবা পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব -১১ । গ্রেফতারকৃতরা হলেন , খাইরুল আমিন(২২),  ফারজানা আক্তার @সুমি(৩৪) , আনোয়ারা(৩৫)। গত (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত র‌্যাব-১১ এর সিপিএসসি’র মাদক বিরোধী পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের কাছে থেকে ৮০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে  । এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব -১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী।

তিনি জানান,  কক্সবাজারের একজন ইয়াবা পাচারকারী দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে অভিনব কৌশলে বাসযোগে ইয়াবা পাচার করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ নভেম্বর   উক্ত ইয়াবা পাচারকারী একই কৌশলে কক্সবাজার হতে বাসযোগে ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল সকাল ১০০০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে পাকা রাস্তার উপর চেকপোষ্ট স্থাপন করে। চেকপোষ্টে গাড়ী থামিয়ে তল্লাসীকালে কক্সবাজার হতে ঢাকাগামী প্রেসিডেন্ট ট্রাভেলস সি­পিং কোচ থেকে নেমে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্দিগ্ধ হিসেবে খাইরুল আমিন’কে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল আমিন কথা ও আচরণে অসংলগ্নতা ও অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলেও ইয়াবা পাচারের বিষয়ে সে অস্বীকার করে। অতঃপর নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত খাইরুল আমিন স্বীকার করে যে উক্ত বাসে তার সিটের কেবিনের পাশের গ্লাস সংলগ্ন বাসের ফ্রেমের সাথে সাথে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো চুম্বক দ্বারা ইয়াবা ট্যাবলেট আটকানো আছে। অতঃপর তার দেয়া তথ্য মতে অভিযান পরিচালনা করে ডিএমপির সায়েদাবাদ এলাকা হতে উক্ত বাসে তার সিটের কেবিনের বাম পাশের গ্লাস সংলগ্ন বাসের ফ্রেমের সাথে চুম্বক দিয়ে আটকানো ও স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ০৩ টি পোটলা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে উক্ত পোটলাগুলো খুললে ৩০টি পলিপ্যাকে রক্ষিত ৬,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল আমিন হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে ১৫০০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জের দক্ষিন সানারপাড় এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ফারজানা আক্তার @সুমিকে গ্রেফতার করা হয় ও তার বাসা থেকে ১২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় এবং ১৬০০ ঘটিকার সময় পূর্ব সানারপাড় এলাকায় পৃথক আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ারাকে গ্রেফতার করা হয় ও তার বাসা থেকে ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সর্বমোট ০৩টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৮,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত খাইরুল আমিন এর বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকায়। সে দীর্ঘদিন যাবৎ অভিনব কৌশলে কক্সবাজারের টেকনাফ হতে বাসযোগে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় অভিনব পন্থায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার ও সরবরাহ করে আসছিল।  গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ