আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সারা দেশে ভোট বর্জন করলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রোববার সকাল থেকে সারাদেশে চলছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ বেশবিছু অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন ঐক্যফ্রন্টসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী। সমকালের ব্যুরো, অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ঢাকা-১৭: ভোট ডাকাতি, এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও কর্মীদের বেপরোয়াভাবে লাঠিপেটার অভিযোগ ভোট বর্জন করেছেন ঢাকা-১৭ আসনে জাতীয় পার্টি বিজেপির প্রার্থী আন্দালিভ রহমান পার্থ। রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ভোট বর্জন করেন তিনি। 

এ বিষয়ে পার্থ বলেন, ৮০ টি কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা বেপরোয়াভাবে আমার কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে। বনানী বিদ্যা নিকেতনে প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল দেওয়া হয়েছে। গুলশানের অনেক কেন্দ্রে জোর করে ব্যালটে সিল দেওয়া হয়েছে। কড়াইল এলাকায় কেন্দ্রে কাউকে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। এমন নজিরবিহীন কারচুপি এর আগে জাতি দেখেনি। তাই ভোট বর্জন করলাম। নির্বাচন বর্জনের এই সিদ্ধান্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছি

নারায়ণগঞ্জ ৩ (সোনারগাঁ) ভোট কারচুপির অভিযোগে বিএনপির প্রার্থী আজাহারুল ইসলাম মান্নান ভোট বর্জন করেছেন।

খুলনার ৫ আসন: খুলনার ৫টি আসনে ভোট বর্জন করেছেন ধানের শীষ প্রতীকের ৫ প্রার্থী। তারা হলেন- খুলনা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী আমীর এজাজ খান, খুলনা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৫ ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। 

কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং পুলিশের বিরুদ্ধের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন তারা। একই সঙ্গে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা। 

রোববার দুপুর ১২টার পর এই ৫ প্রার্থী সমকালকে ফোন করে এবং সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ভোট বর্জন করেন। রকিবুল ইসলাম বকুল দাবি করেছেন, পুলিশ ও সরকারি কর্মী-সমর্থকেরা তাকে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

রাজশাহীর ২ আসন: রাজশাহী-০৫ আসনের বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও রাজশাহী-০৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী আবু হেনা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

রোববার দুপুর পৌনে ২টার দিকে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জানান, তার কর্মী-সমর্থক ও এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এজেন্টদের হুমকি দিয়ে বের করে দেয়া হচ্ছে। তিনি বারবার অভিযোগ করেও ফল পাননি। তাই স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু হেনা রোববার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। 

নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়ে আবু হেনা বলেন, আমার এলাকায় কেন্দ্র দখল করে জালভোটের উৎসব চলছে। নৌকার সমর্থকরা ধানের শীষের সমর্থকদের কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছে না। সাধারণ ভোটারদেরও জান-মালের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। হানাহানি বন্ধের জন্য আমি নির্বাচন বর্জন করছি।সাতক্ষীরা-৪: অনিয়ম, জাল ভোট, কেন্দ্র দখল ও ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে কারাগারে থাকা জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলামের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক জামায়াতের উপজেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল জলিল এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। রাতেই জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। এখন ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোটারদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। এজন্য আমরা ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ঢাকা-১: এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখানো, কেন্দ্রে প্রবেশে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। রোববার দুপুর ১২টার দিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার কামারখোলায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। 

সালমা ইসলাম এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। মটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনি। এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালমান এফ রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে সালমা ইসলাম বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে তার কর্মীদের ওপর হামলা, পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, জাল ভোট দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। ভোট স্থগিত করে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ফরিদপুর-২: ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-শালথা-সদরপুরের একাংশ) আসনে বিএনপির প্রার্থী শামা ওবায়েদ ইসলাম ভোট বর্জন করেছেন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের লস্করদিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের  ঘোষণা দেন তিনি। 

এ সময় শামা ওবায়েদ অভিযোগ করেন, এ আসনের ১২৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০০টি কেন্দ্রে শনিবার রাতেই ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার সকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্টরা গেলেও তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়েছে। জাল ভোট দেওয়ারও অভিযোগ আনেন তিনি। এর প্রতিবাদে নিজেও ভোট দেননি শামা ওবায়েদ। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

নীলফামারী-২ ও ৩: অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের দুই প্রার্থী নীলফামারী-২ (সদর) আসনের মনিরুজ্জামান মন্টু  ও নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের আজিজুল ইসলাম ভোট বর্জন করেছেন।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে করে ঐক্যফ্রন্টের এই দুই প্রার্থী জানান, অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে একতরফাভাবে সিল মারা এবং ধানের শীষের এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ায় ভোট বর্জন করেছেন তারা।

নীলফামারী-২ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মনিরুজ্জামান মন্টুর বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) আসাদুজ্জামান নূর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এজানুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অপরদিকে নীলফামারী-৩ আসনে আজিজুল ইসলামের বিপরীতে মহাজোটের প্রার্থী মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল (লাঙ্গল প্রতীক) ও ইসলামী আন্দোলনের আমজাদ হোসেন সরকার (হাত পাখা প্রতীক) নির্বাচন করছেন।

নোয়াখালী-৪ ও ৬: নোয়াখালী-৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দলটির ভাইস চেয়ার‌ম্যান মো. শাহজাহান ভোট বর্জন করেছেন। তিনি নোয়াখালী সদর ও সুবর্ণচর এলাকার প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া নোয়াখালী-৬ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ফজলুল আজিম ভোট বর্জন করেছেন।

সদর-সুবর্ণচরের বিএনপি প্রার্থী মো. শাহজাহান সাংবাদিক সম্মেলন করে সিইসিকে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে ভোট গ্রহণের অনুরোধ করেছেন। তার দাবি সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হচ্ছে না। 

এদিকে নোয়াখালী-৬ আসনের বিএনপি প্রার্থী ফজলুল আজিমের অভিযোগ, আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীরা সকাল ১০টার মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকার ৭৭টির মতো কেন্দ্র দখল করে নিয়েছেন। তার নেতা-কর্মীরা ভোট দিতে পারেননি। ফজজুল আজিম নিজেও ভোট দিতে পারেননি বলে দাবি করেন।

সিরাজগঞ্জের ৫ আসন: সিরাজগঞ্জের ৬টি সংসদীয় আসনের পাঁচটিতে ভোট প্রত্যাখান করছেনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৫ প্রার্থী। বিএনপির প্রার্থী সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর-সদর উপজলোর একাংশ) আসনে কন্ঠশিল্পী রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর উপজলোর একাংশ-কামারখন্দ) আসনে রুমানা মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ ও তাড়াশ) আসনে আব্দুল মান্নান তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসনে মো. আমিরুল ইসলাম খান আলিম এবং  সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম খান ভোট প্রত্যাখানের ঘোষণা দেন।

নির্বাচনে কারচুপি, সাধারণ ভোটার ও পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, মারধর এবং জাল ভোট দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনেছেন তারা।

রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তার পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। জাল ভোটসহ নানা অনিয়ম হচ্ছে। এসব কারণে তিনি ভোট প্রত্যাখানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ নাসিম।

সিরাজগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী রুমানা মাহমুদ দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন প্রত্যাখান করেন। শহরের হোসেনপুরের নিজ বাড়িতে তার পক্ষে এ ঘোষণা দেন তার স্বামী কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না।

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম খানের পক্ষে দুপুর দেড়টার দিকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন উল্লাপাড়া উপজেলায় ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক শাহজাহান আলী। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানভীর ইমাম।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদার দুপুর ২টার দিকে রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি নির্বাচনে কারচুপি, ভোটার ও এজেন্টদের বাঁধা এবং অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন প্রত্যাখান করেন। 

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী আমিরুল ইসলাম খান আলিম সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নিজ বাড়িতে সংবাদ সন্মেলন করেন। এ সময় তিনি কারচুপি, ভোটার ও এজেন্টদের বাঁধা এবং অনিয়মের অভিযোগ আনেন। এরপর বিকেল ৩টার দিকে তিনি নির্বাচন প্রত্যাখানের ঘোষনা দেন পর।

পাবনা-৪: কেন্দ্র দখল ও ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগে পাবনা-৪ (ইশ্বরদী-আটঘরিয়া) বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ভোট বর্জন করেছেন। রোববার দুপুর সোয়া ২টায় এই প্রার্থীর পক্ষে তার নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট একেএম আখতারুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করে এই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। 

তিনি বলেন, কেন্দ্র কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র দখল করা হচ্ছে। তাই আমরা ভোট বর্জন করছি।

বগুড়া-৪: বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম ভোট বর্জন করেছেন।

রোববার সকাল থেকে হিরো আলম তার নিজ কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এবং পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তিনি বলেন, ভোট শুরু হওয়ার পর আমি ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করতে বের হয়েছি। এমন সময় হঠাৎ করেই একদল অজ্ঞাত লোক আমার ওপর হামলা করে। আমাকে মারধর করে। আমি তো স্বতন্ত্র প্রার্থী। আমাকে তাদের এতো ভয় পাওয়ার কেন? আমাকে কেন আক্রমণ করা হলো? প্রশ্নটি সবার কাছে রেখে ভোট বর্জন করলাম আমি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬: কেন্দ্র দখল ও ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর উপজেলা) আসনের বিএনপির প্রার্থী এম এ খালেক ভোট বর্জন করেছেন। রোববার দুপুর একটার দিকে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এম এ খালেক অভিযোগ করে বলেন, সকালেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি আমার নিজের কেন্দ্রও দখল করে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা। এরপর আর নির্বাচনে থাকার কোনো মানে হয় না। তাই ভোট বর্জন করলাম।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড): এ আসনে বিএনপির প্রার্থী আসলাম চৌধুরী ভোট বর্জনে ঘোষণা দিয়েছেন। কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীর পক্ষে সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন রোববার দুপুর ২টায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

ব্যাপক অনিয়ম, ভোটকেন্দ্র দখল, ভোটের আগের দিন রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা, বিএনপির এজেন্ট ও ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে না দেওয়া ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ভোট বর্জন করা হয়েছে বলে মুঠোফোনে জানান তিনি।

ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ): এ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী আইনজীবী এ এইচ এম খালেকুজ্জামান ভোট বর্জন করেছেন। রোববার দুপুর সোয়া ২টার দিকে নিজ বাসায় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ডেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, আমার এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যেখানেই গিয়েছি সেখানেই করুণ অবস্থা। একটি স্বাধীন দেশে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এতো নোংরাভাবে হরণ করার ঘটনা বিরল।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ