আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সরকার পতনে জোরালো আন্দোলন চান বিএনপির নেতাকর্মীরা

তাওসিফ মাইমুন : বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করেন বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে হলে জোরালো আন্দোলনের প্রয়োজন। এছাড়া সরকারের পতন হবে না এবং এমনিতে এই সরকার পদত্যাগ করবে না।

মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দেওয়া বিএনপি নেতাকর্মীরা এমনটিই জানান।
এদের মধ্যে একাধিক নেতাকর্মী বলেন, সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে শিগগিরই জোরালো আন্দোলন করা দরকার। কোনও স্বৈরাচারী সরকারই সহজে বিরোধীদলের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয় না। তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কাছে তারা জোরালো আন্দোলনের ডাক চান।

রাজবাড়ী জেলার সাবেক সংসদ সদস্য মো. নাসিরুল হক সাবু। মঞ্চের পূর্ব পাশে বিশ্রাম নিচ্ছেন ষাটোর্ধ্ব সাবু। সমাবেশে যোগ দিতে গতকাল রাতেই স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান তিনি। সংবাদচর্চার প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আগামীকালের সংলাপের পরই একটি ফয়সালা হবে এবং নতুন কিছু আসবে। তবে যাইহোক, এই সরকারকে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হলে, কঠোর কর্মসূচি দরকার বলে মানে করেন সাবেক এই এমপি। এই সরকারের সাথে নমনীয় কর্মসূচিতে আর চলবে না।

তিনি আরো বলেন, ঐক্যফ্রন্টের চলমান কর্মসূচিতে আমরা অসন্তুষ্ট নই। আমরা মনে করি জোটে জ্ঞানগর্ভ নেতারা এসেছেন। যা আমাদের জন্য এবং দেশের মানুষের কল্যানের জন্য ইতিবাচক। তাদের নেতৃত্ব আরও জোরালো হবে। তবে আমাদের প্রধান দাবি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই নির্বাচনে যাওয়া। আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচনের আগেই নেত্রীর মুক্তি হবে। অন্যদিকে সরকারের কাছথেকে যেকোনো মূলে ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি আদায় করতে হবে।

সাবু আরো বলেন, বিএনপি তৃণমূল পর্যায়ে ঐক্যফ্রন্টের যেকোনো কর্মসূচি পালনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। এবং যে কোনো মুহূর্তের ডাকের সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেব। আমাদের ক্ষোভ নেই, কারণ দলের হাইকমান্ড সঠিক পথেই আছেন।

নোয়াখালি থেকে আগত বিএনপির পৌর সেক্রেটারি বলেন, এই সমাবেশ আমাদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার গণতন্ত্র এবং জনগনের ভোটাধিকার বিশ্বাস করলে আজকের সমাবেশের পর সরকার সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত নেবেন। এছাড়া আমাদের নেত্রিকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দেবেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ