আজ সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সরকার চাইলেও কি মিয়ানমারের জনগণ রোহিঙ্গাদের মেনে নিবে!

সজিব খান: বিভিন্ন ভাবে চাপের মুখে পরে মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী অং সান সু চি রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিলেও দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠি রোহিঙ্গাদের মেনে নিবে কিনা প্রশ্ন থেকেই যায়। কেননা রোহিঙ্গাদের নিয়ে দেশটির সাধারণ জনগণের অনেক আগে থেকেই বিরূপ মনোভাব রয়েছে।

দেশটির সাধারণ জনগণ মনে করেন রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়, তারা বাঙালি জাতি। রোহিঙ্গাদের অনাকাংক্ষিত এবং অগ্রহণযোগ্য বলেও মনে করেন তারা ।  মূলত দেশটির দীর্ঘ সময়ের সরকারি নীতিই রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে জনগণের মনে এই ধরনের মনোভাবের জন্ম দিয়েছে। যুগ যুগ ধরে মিয়ানামরের মুসলিম বিদ্বেষীরা রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে এমনটা করেছেন ।

 

বিশ্বজুড়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকটকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হলেও দেশটির নাগরিকরা বিষয়টিকে সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন হিসেবে দেখছে। তাই রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা হত্যার  প্রতি দেশটির জনগণের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।

রোহিঙ্গা নিধন সম্পর্কে একবৌদ্ধ সন্ন্যাসিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা মুসলিমরা মিয়ানমারের অধিবাসী নয়। রোহিঙ্গা নারীরা বেশি বেশি বাচ্চা জন্ম দেয়। এ কারণে স্থানীয় বৌদ্ধ জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। তবে এখন যে কোনোভাবে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা এখান থেকে চলে গেছে। তারা চলে যাওয়ায় ভগবান বুদ্ধকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাদের জমি, আমাদের খাবার, আমাদের পানি ইত্যাদি চুরি করে নিয়েছিল। আমরা কখনই তাদের আর ফিরিয়ে নেব না।’

অপরদিকে জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হাতে রাখাইনের রোহিঙ্গাদের ওপর গত কয়েক মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ, গণধর্ষণ ও তাদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের তা-ব চালিয়েছে, তার শক্ত দলিলও প্রমাণাদি থাকা শর্তেও সব অভিযোগ অস্বীকার করে দেশটির সরকার উল্টো দাবি করেছে, রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের ঘর-বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। রোহিঙ্গারা নিজেরাই নিজেদের লোককে হত্যা করেছে। এমতাবস্থায় মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নিলেও সে দেশে গিয়ে রোহিঙ্গারা একটি বিশাল জনগোষ্ঠির কাছে কতটুকু গ্রহণ যোগ্যতা পাবেন, দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধেদের কাছে রোহিঙ্গারা নির্যাতিত হবেন কিনা শংকা থেকেই যায়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ