আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সম্মেলনে বাধা কোথায়

স্টাফ রিপোর্টার :

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের গুরুত্বপূর্ন অঞ্চল ফতুল্লার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন রহস্যজনক কারণে থমকে আছে। থানার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে কেবল কাশিপুর ইউনিয়নের সম্মেলন হয়েছে। বক্তাবলীতে সম্মেলনের আয়োজন করলেও দুই পক্ষের মারামারিতে তা পণ্ড হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন পূনরায় আয়োজন করা হচ্ছে না। আর কুতুবপুর, এনায়েতনগর ও ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কোন প্রচেষ্টাও দেখা যাচ্ছে না। এসব ইউনিয়নের ওয়ার্ডগুলোতেও সম্মেলনের কোন আবহ নেই। অথচ, এই অঞ্চলের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান। তার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক তৎপরতা না থাকায় তা নিয়ে সমালোচনা চলছে সর্বত্র। সম্মেলন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে তৃণমূলে। রহস্যজনক কারণে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন একযোগে হচ্ছে না। কী কারণে বিলম্ব সেই প্রশ্ন তুলছেন নেতাকর্মীরা। তবে বিগত সময়ে নানা অজুহাত দেখিয়েছিলে থানা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা।

রাজনৈতিক অঙ্গণে শোনা যায়, সম্মেলনে নেতৃত্ব পাওয়ার উপযুক্ত নেতার সংকট রয়েছে। তাই নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে বিলম্ব হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, নেতৃত্ব নেয়ার দৌড়ে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। যারা প্রত্যেকেই এমপি শামীম ওসমানের অনুসারী। তাই কাকে রেখে কাকে দেবেন, সেই হিসেব কষতেই সম্মেলনের সময় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।

এদিকে, সম্মেলনের ধারাবাহিকতাও দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘ সময় বিলম্ব করে বিচ্ছিন্ন ভাবে সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। জানা গেছে, গত পহেলা এপ্রিল কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। পরবর্তী সময়ে কোন ইউনিয়নেই আর সম্মেলন হয়ে উঠেনি। ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এরপর আবারও সম্মেলন থেমে যায়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর গত বছরের ২৬ নভেম্বর বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে, সভাপতি পদে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মাঝে মারামারির কারণে সম্মেলন স্থগীত করা হয়। এরপর দীর্ঘ সময় পাড় হলেও সম্মেলন হয়নি ফতুল্লার কোথাও।

জানতে চাইলে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, ‘অচিরেই বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি অন্যান্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডগুলোতেও সম্মেলনের দিন তারিখ নির্ধারন করা হবে।’

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ