আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সচেতনতা কমেছে

রেদওয়ান আরিফ

লকডাউন শিথিলের পর থেকেই সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধির নানা শর্ত শাপেক্ষে খোলা হয়েছে শহরের বিভিন্ন দোকানসহ ছোট-বড় সব শপিংমল। তবে শুরু থেকে প্রশাসনের এই নির্দেশনা মানলেও এখন তা মানছেনা অধিকাংশ মার্কেটের দোকানিরা। বিক্রেতা-ক্রেতার সুরক্ষার জন্য শহরের মার্কেটগুলোতে গেট আকারে জীবণুনাশক টানেল মেশিন বসানো হয়েছে। কিছু কিছু মার্কেটের গেটের সামনে হাতে জীবাণুনাশক স্প্রে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মরত ব্যক্তিদের শুরু থেকে দেখা গেলেও অনেক মার্কেটের সামনে এখন আর তাদেরকে দেখা যায়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের এক নম্বর রেলগেট এলাকায় রিভারভিউ মার্কেট, আল জয়নাল প্লাজায় ঈদের সময় জীবাণুনাশক টানেল ব স্প্রে ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে এখন তা নেই। দুই নাম্বার রেলগেট এলাকায় ফজর আলি ট্রেড সেন্টার, মিড টাউন শপিংমল ও ডিআইটি গ্রীন সুপার মার্কেট, বর্সন সুপার মার্কেট, সোনার বাংলা মার্কেট, এফ রহমান সুপার মার্কেট, খান সুপার মার্কেট এবং উকিল পাড়া এলাকায় টপ টেন শপিংমল, টপ মার্ট শপিংমলসহ বেশ কিছু মার্কেটের প্রবেশ পথে দেখা গেল একই চিত্র। অধিকাংশ মার্কেটের সামনে শুরু থেকে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হলেও এখন তা আর নেই। ক্রেতারা দলবেধে হুড়মুড় করে হাত না ধুয়েই মার্কেটে প্রবেশ করছে। এমনকি তাদের কে দেয়া হচ্ছেনা কোনো জীবাণুনাশক সুরক্ষা ব্যবস্থা। অনেক ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। মানছেনা সামাজিক দূরত্বও। প্রথম দিকে মানতে দেখা গেলেও এখন তা মানছেনা অনেকেই।

সচেতন মহলের মতে, প্রতিটি মার্কেটের মধ্যেই ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মার্কেটের সামনে জীবাণুনাশক স্প্রে সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই আসা যাওয়া করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এতে করে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ