আজ শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সখের নার্সারী এখন তার আয়ের উৎস

আড়াইহাজার প্রতিনিধি:-এক সময়ের সখের নার্সারীই এখণ আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জের ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের সুলপান্দী গ্রামের আদর্শ এক গৃহ বধু গোলরায়হানের। সরকারী চাকুরীর পাশা পাশি তিনি এখন একজন বড় নার্সারীর মালিক।

গোলরায়হান সুলপান্দী গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী। তার স্বামীও একজন সরকারী চাকুরীজীবি। তিনি নিজেও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের একজন মাঠ কর্মী। ছোট বেলা থেকেই ফল ও ফুলের গাছ রোপন করা তার একটি সখের কাজ ছিল। এ সখ কে তিনি ধরে রেখেছেন বিয়ের পরও। তাই তিনি স্বামীর বাড়ীর আঙ্গিনা সহ বাড়ীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকার ফলের গাছ রোপন করেন। বিগত ১৯৯০ সনের দিকে তিনি ফলের চারার সাথে সাথে ফুলের চারা ও রোপন করতে থাকেন। এ ভাবে তার মনে জন্ম নেয় একটি ছোট খাট নার্সারীর করার ইচ্ছা। সেই থেকে শুরু। বাড়ীর বিভিন্ন স্থানে তিনি ফল ও ফুলের চাড়া জন্মানো শুরু করেন। এ ভাবে তার নার্সারীর পরিধি বাড়তে থাকে। এক সময় তার নার্সারীতে জন্মানো ফল ও ফুলের চারা তিনি বাজার জাত করতে থাকেন। উপজেলার বাজার গুলোতে গোলরায়হানের নার্সারীর চারার অনেক কদর।

এবারে আড়াইহাজার উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক আয়োজিত ফলদ বৃক্ষ মেলায় স্থান পেয়েছে গোলরায়হানের নার্সারীর একটি স্টল। মাতৃ কানন নার্সারী নামের স্টলটিই   বৃক্ষ মেলায় স্থান পাওয়া এক মাত্র নারী মালিকানাধীন স্টল।

গোল রায়হান জানান, তার এক ছেলে এডভোকেট। নার্সারী করার ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি কোন বাধার সম্মুখীন হননি। বরং সকলে আরো তাকে উৎসাহিত করেন। দু,জন শ্রমিক প্রতিদিন তার নার্সারী পরিচর্যার কাজ করে যাচ্ছে। নার্সারীতে উৎপাদিত চারা বিক্রি করে তার প্রতি মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা আয় হয়।

আড়াইহাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আঃ কাদির জানান, কৃষি অফিস থেকে গোলরায়হানকে উপযুক্ত পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। তিনি একজন দৃষ্টান্ত স্বরূপ নারী উদ্যোক্তা। গোলরায়হান উপজেলা হটিকালচারে বিনা মুল্যে একটি নার্সারীর ও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ