আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে রণজিৎ কুমার, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘যেতে নাহি দিব।  হায়,  তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।’ সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক অন্যতম ব্যক্তিত্ব  ও  শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা রণজিৎ কুমার। 

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারী) সকালে  চাষাঢ়া শহীদ মিনারে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। তাকে শেষবারের মত দেখতে ছুটে আসেন নারানারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ। সিক্ত হোন সকলের অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় ।  

গত কয়েকদিন যাবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রণজিৎ কুমার। বুধবার (২ জানুয়ারি) সকালে তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারি করার জন্য অপারেশন কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৫৫ বছর (১৯৬২-২০১৯)। 

সকালে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রণজিৎ কুমারের মরদেহ আনা হয়। মরদেহ একে একে নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী । 

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ  প্রেসক্লাব, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট,  নারায়ণগঞ্জ খেলাঘর আসর, সমগীত, নারায়ণগঞ্জ প্রথম আলো বন্ধুসভায়, ক্রান্তি খেলাঘর আসর, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলন, সমমনাসহ বিভিন্ন আবৃত্তি সংগঠন ও  সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ। শ্রদ্ধা জানানো শেষে মাসদাইরস্থ মহাশ্মশানে শেষকৃত্য করা হয়।

জানা যায়, রণজিৎ কুমার নারায়ণগঞ্জে আসেন প্রায় দুই যুগ আগে। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের পরে নারায়ণগঞ্জে ও সারাদেশে নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়। নারায়ণগঞ্জে তখন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নতুন এক যুগের সূচনা ঘটে।

১৯৯২ সালে সোভিয়েত বিপর্যয়ের পরে ময়মনসিংহ থেকে নারায়ণগঞ্জে এসে শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমির মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেন রণজিৎ কুমার। এই শ্রুতি থেকে পরবর্তীতে ধাবমান, সমগীত থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়।পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। 
তিনি সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক ছিলেন।

রণজিৎ কুমার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে কর্মরত ছিলেন।  তিনি মৃত্যুকালে তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা শর্মা, দুই ছেলে প্রথম প্রান্ত (বড়) ও অনন্ত উৎসাহকে  (ছোট)  এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ